ডেস্ক নিউজ: গাজীপুর পোশাক শিল্প শ্রমিকেরা বড় ভোটব্যাংক। তাই গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে পোশাক শ্রমিকরা। আর তাই প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী জোর দিচ্ছেন এই কর্মজীবি ভোটারদের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের নিয়ে।
দেশের পোশাক কারখানার বেশিরভাগই গাজীপুরে। তাই এই নগরে বিপুল সংখ্যক পোশাক শ্রমিকের বসবাস। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ১১ লাখ ৩৪ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশই শ্রমিক। তাই ভোটের মাঠে জয়-পরাজয় নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে এই ভোটাররা।
শ্রমিকরা বলছেন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তাসহ জীবনমান উন্নয়নে যিনি পাশে থাকবেন, মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে তাকেই বেছে নেবেন তারা ভোট টানতে সতর্ক প্রার্থীরাও। তাই উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দেয়ার ক্ষেত্রেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন পোশাক শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াগুলো। নির্বাচনের দিন এসব শ্রমজীবীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কারখানা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন কারখানার মালিকরা।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, গাজীপুরকে একটি সুন্দর নগরী ও শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা তার সাথে তরুণ এবং শ্রমিকদের অধীকারের জন তার কাজ করে যেতে পারে সে জন্য কাজ করে যাব।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, যার পোশাক শ্রমিক তারা যেন অল্প খরচে বসবাস করতে পারে সে জন্য তাদের জন্য আবাসিক ভবন করা হবে। তার সাথে তাদের সন্তানদেরকে যেন শিক্ষিত করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
গেল ৩১শে মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আগামী ১৫ই মে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারন করেন। এটি হবে এই সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন। গাজীপুর সিটিতে প্রথম ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালের ৬ই জুলাই।
ভুলত্রুটি সংশোধনের পর ৫৭টি ওয়ার্ডে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৬ এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ২৯৬ জন নারী। এর আগের নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। এবার সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হবে ৪৩০টি, যা গত বারের তুলনায় ৩৮টি বেশি।
শ্রমিকদের ভোটাধীকার নিশ্চিত করতে নির্বাচানের দিন গাজীপুরে পোশাক কারখানাগুলো যাতে বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন কারখানার মালিক।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ