বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে হাইকোর্ট।
দূর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবি খুরশিদ আলম খান রায়ের বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
রাষ ঘোষণার পর বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ করছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবি জয়নুল আবেদীন।
দশ বছর আগে করা একটি মামলায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে শাস্তি দেয় বিশেষ আদালত।
সেসময় বিশেষ আদালত মিসেস জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিল।
এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে।
প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম চলেছে। এরমধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, এবং ১৬ দিন ধরে যুক্তিতর্ক চলেছে। আদালতে হাজির না হওয়ায় কয়েকবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল।
সূত্র, বিবিসি