ডেস্ক নিউজ: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। শুক্রবার সিলেট, ঝিনাইদহ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, মাগুরা, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর ও মেহেরপুরে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও গাছপালা। ঝড়ে সারাদেশে অন্ততছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিলেটে ঝড়ের মধ্যে টিনের চালের আঘাতে এক পথচারী নিহত এবং এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেছে। শিলার আঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা ও দিনাজপুরে। যশোরের অভয়নগরে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে এক কলেজ ছাত্রীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অপর এক কলেজ ছাত্রী।
এছাড়া উত্তরের জেলাগুলোতে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে আরো শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়া ছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে ফসলের ক্ষেত, ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা।
মাগুরা
মাগুরায় শিলাবৃষ্টিতে সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ডহরসিংড়া গ্রামের বদন মোল্লার ছেলে আকরাম হোসেন (৪৫) নিহত হনও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় বহু গাছপালাসহ অন্তত ৩০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
দিনাজপুর
দিনাজপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাথায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলী (৫৫) মারা গেছেন। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন।
সিলেট
সিলেটের ওসমানীনগরে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে গোটা ওসমানীনগর এলাকা। ঝড়ের কবলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত গাছ উপড়ে পড়ে।
ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। এ সময় উপজেলার তাজপুর ইউপির দশহাল গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নূরুল আলমের নির্মাণাধীন ঘরের টিন উড়ে গিয়ে গলা কেটে সাবিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউপির সোনাপুর গ্রামের খালিছ মিয়ার স্ত্রী।
যশোর
যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে শাহিদা ফিলিং স্টেশনের সামনের যশোর-খুলনা মহাসড়কের ফুটপাতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে লাইজু (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রী এবং ফাতেমা বেগম (৫০) নামের এক নারী মারা গেছেন। লাইজুর বান্ধবী ঐশী (১৯) আহত হয়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।