স্পেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল কাতালোনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার পর দেশটি এক গভীর সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট স্বাধীনতার ঘোষণার পক্ষে ভোট দেয়ার পর পরই স্পেনের পার্লামেন্ট সেখানে কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ শাসন জারির প্রস্তাব পাশ করে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাহয় বলেছেন, আইন, গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কাতালোনিয়ায় প্রত্যক্ষ শাসন জারি করা দরকার ছিল।
এর আগে কাতালান সংসদে গোপন ব্যালটে স্বাধীনতার প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সংসদে বিরোধী দল, যারা স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার বিচ্ছিন্নতার বিরোধী, তারা এই ভোট বয়কট করেছে।
তবে বেশিরভাগ এমপিই – ৭০ জন- স্পেন থেকে ক্ষমতা কাতালোনিয়ায় নিয়ে আসার পক্ষে ভোট দিয়েছেন- যার অর্থ তারা এখন স্পেনের সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করছেন।
অন্যদিকে ১০ জন ভোট দিয়েছেন স্বাধীনতার বিপক্ষে।
কাতালান পার্লামেন্টে ভোটের পর সংসদের বাইরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থকরা আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করেন এবং পতাকা উড়াতে থাকেন। কাতালান নেতা কার্লেস পুজডেমন বলেন, স্বাধীনতার ওপর গণভোটে কাতালানরা যে রায় দিয়েছেন পার্লামেন্ট সেটাই প্রয়োগ করেছে।
এর পরপরই মাদ্রিদে স্প্যানিশ সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেট কাতালোনিয়ায় স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছে। কাতালোনিয়ায় সরাসরি শাসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২১৪ আর বিপক্ষে ৪৭টি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে – এর পর কি? পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্যে প্রধানমন্ত্রী রাহয় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক ডেকেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে স্পেনের নেতারা কাতালানের প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি কাতালোনিয়ার পুলিশ, অর্থনীতি এবং সরকারি সংবাদ মাধ্যমের ওপর কেন্ত্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।