গুলির শব্দ থেমেছে, এগুচ্ছে ফায়ার ব্রিগেড। গুলশানের হলি বেকারির জিম্মি দশা এখন অবসানের পথে। সেখানে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অভিযান চালাতে শুরু করলে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অভিযান। এসময় গুলি-পাল্টাগুলি চলে। ভেসে আসে গ্রেনেডেরও শব্দ।
এরপর গুলির শব্দ থেমে যায়। সকাল সোয়া ৮টার দিকে ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যদের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর একে একে অন্তত ১৩ জন বের করে আনা হয়।
নিচে দেখুন ঘটনার ধারাবাহিকতা।
সকাল ৮টা ৪০: পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্সে উদ্ধারকৃতদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যায়।
সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
৮টা ৩৪ মিনিটে সেনা প্রধান শফিউল হক ঘটনাস্থলে পৌছান।
সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যায়।
সকাল ৮টা ২০ মিনিটে র্যাব এর একটি অ্যাম্বুলেন্স বাইরে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে একাধিক আহত ব্যক্তিকে বের করে আনতে দেখা যায়। এদের মধ্যে অন্তত একজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন।
সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা হয় কয়েকজন নারী ও শিশুকে।
কমান্ডো অভিযান
রাজধানীর গুলশানের ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ রেস্টুরেন্টে সৃষ্ট জিম্মি সংকটের অবসান ঘটাতে সেনা কম্যান্ডোরা স্পটে এসে পেঁৗছান সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপরপরই তাদের অভিযান শুরু হয়।
তাদের সঙ্গে অংশ নেয় র্যাব, পুলিশ, সোয়াট, বিজিবিসহ অন্য বাহিনীও।
সকাল পৌনে আটটার দিকে স্পট থেকে ভেসে আসতে থাকে টানা গুলির শব্দ। গুলির পাশাপাশি, গ্রেনেডের শব্দও আসতে থাকে। বেলা ৭টা ৫০ মিনিটের মধ্যে অনেকটাই ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় কমান্ডোরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার কিছু আগে সেনাবাহিনীর ১১টি এপিসি, ১৬টি জিপ ও ৩টি ভ্যানসহ বেশ কিছু সাঁজোয়া যান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করে। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চিহ্নিত এলাকার বাইরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মিলিটারি পুলিশকে।
এরপর একে একে বাড়তে থোকে সেনা সদস্যের সংখ্যা।
এর আগে জিম্মিদশার প্রায় আট ঘণ্টা পার হওয়ার পর শনিবার ভোর পৌনে চারটার পরপরই এক দফা অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। যার অগ্রভাগে ছিলেন র্যাব সদস্যরা। সে সময় অন্তত পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
কম্যান্ডিং অফিসার মাইকে জানান, যারা বের হয়ে আসতে চায় তারা যেনো হাত উঁচু করে বের হয়ে আসেন।
ভোর ঠিক চারটায় ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে বের করেও আনা হয়। অভিযান স্থলে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়।
ভোর ঠিক ৪টা ৫ মিনিটে একটি গ্রেনেড বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে সেটি কোন পক্ষ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলো না। তবে ওই বিষ্ফোরণের পর অভিযানকারীরা থেমে যায়। এর পর প্রায় তিন ঘণ্টা একই অবস্থায় কাটানোর পর সকাল সাড়ে ৭টায় কম্যান্ডোরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর নতুন অভিযান শুরু হয়।