আ,হ জুবেদ:: আসুন বিশেষ দিনের ইলিশ আর পান্তা ভাতের এই শহুরে ফ্যাশনের বদলে আশপাশের গরিবের ঘরে দু’বেলা দু’মুটো ভাত দিয়ে দিনটিকে আরো আরো উৎসবমুখর করে তুলি।
আধার ভেদ করে সূর্যকিরণ প্রতি জীবন দুয়ারে পৌছে যাক
যাপিত জীবনের যাবতীয় গ্লানি ভুলে, এসো রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর!
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।চলুন দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই । ১৪২৩ সাল হোক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার বছর।কোটি বাঙালীর অর্জিত স্বাধীনতা সমুন্নত থাক। সকল অনিশ্চিয়তা ,অস্থিতিশীলতা দূর হোক। আমরা বাঙালী বাংলাদেশীরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হই। পরস্পরকে শ্রদ্ধা করতে শিখি। সকল ধর্ম বর্ণ গোত্রের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে সকল বিভেদ মাটি চাপা দিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ি।গত বছরের ব্যর্থতা গুলো এবছর সফলতা পাক।নতুন নতুন আনন্দ আর গানে ভরে উঠুক সবার জীবন।
পান্তা-ইলিশে বৈশাখ উদযাপনের সংস্কৃতির পক্ষে জোরালো উদাহরণ না থাকায় এবার ইলিশের পদ ছাড়াই বৈশাখ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন তথা দেশের কিছু প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।
ইলিশকে উড়ে এনে জুড়ে বসানো হয়েছিলো যেনো বাঙালির সার্বজনীন বৈশাখ উদযাপনে! যদিও বৈশাখে ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়। তবুও নববর্ষ পালনে বাঙালির পাতে যেনো জোর করে চাপানো হয় ইলিশ।
বৈশাখে ইলিশ ভোজনকে যখন বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ বানিয়ে ফেলা হয় তখন অসময়ে শুরু হয় এ মাছটি কেনার মহোৎসব। চাহিদা বেশি থাকায় নির্বিচারে শুরু হয় ইলিশ ধরা। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে প্রজননকালে ইলিশ নিধন হতে থাকে।
এতে সারাবছরে ইলিশ উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এভাবে বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশ ধরার উৎসব চললে নিকট অতীতে জাতীয় এ মাছটি হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়।
এমন শঙ্কার মাঝে কথা উঠে ইলিশ বৈশাখী সংস্কৃতিতে কিভাবে আসলো। হাজার বছরের যে বাঙালি সংস্কৃতি তাতে বৈশাখ পালনে ইলিশ খাওয়া হতো কি-না! বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহকরা ইতিহাস ঘেটে দেখেছেন, নববর্ষ উদযাপনে ইলিশ ভোজন হতো না। নথিপত্র ঘেটে গভীর অনুসন্ধানে তারা দেখেছেন, বৈশাখে ইলিশ খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়। এটা স্রেফ শহুরে ফ্যাশন। নিকট অতীতেই এ ফ্যাশন চালু হয়।
তাই এবার বৈশাখ পালন হবে ঠিকই তবে ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন কিছু আনন্দের মধ্যেদিয়ে।
এবার পহেলা বৈশাখে খোদ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য তালিকায়ও থাকছেনা লক্ষ টাকার ইলিশ।
অতএব, এই বৈশাখে অনেক’ই ইলিশবিহীন বৈশাখী আনন্দে মেতে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদি তাই হয়; তো এবারই প্রথম পান্তা-ইলিশবিহীন বর্ষবরণ করা হবে।