জাকির সিকদার: শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় তরুনী পোশাক কর্মীকে মঙ্গলবার রাতভর গণ ধর্ষনের অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় থানা এলাকা হতে ১ শত গজ দূরত্বে ধর্ষণকারিদের নিজ বাড়ির একটি কক্ষ হতে ওই তরুনীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ২ ধর্ষককে আটক করলেও ১ জন পালিয়ে যায়। ঘটনায় থানায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা তরুনি পোষাককর্মী আকলিমা(১৮) জানায়, সে কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা হার্ডি এসোসিয়েটস লিমিটেডে ফিনিশিং সেকশনে হেলপার পদে চাকুরি করেন। সে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার শহর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। কর্মস্থল হতে মঙ্গলবার রাত অনুমান ৮টায় তার ভালোবাসার এবং পছন্দের কর্মস্থলের সহকর্মী শামীম(২২) এর সাথে থানা থেকে উত্তরে মাত্র ১ শত গজ দূরত্বেআল আমিন মাদ্রাসার সামনে বাস থেকে দু’জনে নেমে পায়ে হেঁটে বাসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে সম্ভার পাম্পের নিকট পৌঁছা মাত্র স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহেদ আলীর ছেলে আনোয়ার রিংকু (২৮), আলতাফ সরদারের ছেলে নুমান হোসেন(২৩) ও সুজন নামে ৩ জন মিলে জোরপূর্বক আমাকে আমার সঙ্গীয়
পছন্দের শামীমকে ধরে নিয়ে যায়। দু’জনকে আলাদা করে আনোয়ারের হোসেন রিংকুর বসত বাড়ির দু’টি কক্ষে আলাদা করে রাখে। পরে রাতভর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন ও পালাক্রমে ধর্ষন করে। অপর কক্ষে থাকা আমার সঙ্গীয় শামীমকে ব্যাপক শারিরীক নির্যাতন করে এবং তার একটি মোবাইল ও সঙ্গে থাকা ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। রাতের কোন এক সময় শামীম কৌশলে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ভোররাত সাড়ে ৪টায় ওই বাড়ির কক্ষ হতে তাকে উদ্ধার করে। এসময় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষনকারিদের দু’জনকে হাতেনাতে পুলিশ ধরতে পারলেও সুজন নামে একজন পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে অল্প দূরত্বে রিংকুর বাড়ির একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতা কে উদ্ধার ও এর সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৩ জনের নামাল্লেখ করে মামলা দেয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর জনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতাকে আদালতের নির্দেশে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে।