অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দু’টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় অনিয়মের অভিযোগ পাওযা গেছে। এর সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জড়িত রয়েছে। এঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৬৬ জন ও নিশিকান্ত গাইন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ২৮০ জন শিক্ষার্থীকে গতকাল মঙ্গলবার উপবৃত্তির টাকা দেয়। বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৬২০, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে ৭৭০ এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে ১০২০ টাকা দেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। তবে টাকা দেয়ার সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে সেশন ফি, খেলার চাঁদা ও উপবৃত্তি প্রদানকারী কর্মকর্তাদের আপ্যায়ণ খরচ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবকরা সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রতিবাদ করলে সংঘবদ্ধ একটি মহল আমাদের উপর বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে।
এব্যাপারে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারী মল্লিক কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে অন্যান্য শিক্ষকরা টাকা কেটে রাখার ঘটনা সদম্ভে স্বীকার করেছেন। নিশিকান্ত গাইন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রণজিৎ কুমার মধুর সাথে যোগাযোগ করে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা রাখার কোন সরকারী নিয়ম নেই। টাকা রাখলে এটা স্কুলের ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার কথা বলে সাংবাদিকদের জানান, এ ধরণের ঘটনা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অপরাধমূলক।