চীন প্রতিনিধি: Bangladesh Students Union in China (BSU-China) এর পক্ষ থেকে লকডাউনে আটকে পড়া ২৭৯ টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে।
সংগঠনের অ্যাডমিন ও পিএইচডি স্টুডেন্ট শিরিন আক্তার এর সার্বিক তত্বাবধায়নে ও সহযোগিতায় সাতক্ষীরা অঞ্চলে ৫১টি পরিবার, সংগঠনের অ্যাডমিন ও পিএইচডি স্টুডেন্ট মোঃ আরিফ হোসাইনের নেতৃত্বে চাঁদপুর ২৫টি, মাজহারের নেতৃত্বে ময়মনসিংহে ৩০টি, স্বেচ্ছাসেবক মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নেত্রোকোনায় ২০টি, সংগঠনের অ্যাডমিন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট সেতু লাল চাকমার নেতৃত্বে রাঙ্গামাটিতে ২০টি, অ্যাডমিন সাব্বির ও সোহাগ এর নেতৃত্বে বাগেরহাট অঞ্চলে ২০টি, অ্যাডমিন ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট মাহবুব ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট রাসেল এর নেতৃত্বে বগুড়াতে ২৩টি, অ্যাডমিন আজমীরী ও স্বেচ্ছাসেবক তৌহিদুল বারি এর নেতৃত্বে ফরিদপুরে ২০টি, অ্যাডমিন নাঈম এর নেতৃত্বে ঢাকার সাভারে ২০টি, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মাগুরাতে ২০টি, স্বেচ্ছাসেবক হাবিবুর রহমান হাবিব এর নেতৃত্বে কুড়িগ্রামে ১৫টি, স্বেচ্ছাসেবক সেলিম এর নেতৃত্বে চট্রগ্রামে ১০টি পরিবারসহ সর্বোমোট ২৭৯ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
উইচ্যাটে “BSUC Help Zone COVID-19” নামে একটি গ্রুপ খোলে ফান্ড কালেকশন করা হয়। ফান্ডের জন্য সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্য নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী অর্থ প্রদান করে।
সংগঠনের সকলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ১২ টি অঞ্চলে উপহার সামগ্রী অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য ও ইফতার সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, তেল, লবন, সাবান, ছোলা, চিনি, বেসন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা ও পরিচালক X’ian Jiatong University এর স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাজহারুল খান মাজু বলেন, “চীনে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের একই প্লাটফর্মে আনার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় একে অপরের সহযোগিতার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট সমস্যায় সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর সামান্য চেষ্টা করেছি। এখানে সকল কৃতিত্ব সংগঠনের সদস্যবৃন্দের। তারা সহযোগিতা করেছে বলেই আমরা কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের বিভিন্ন রকম স্বেচ্ছাসেবী কাজ অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ|
উপহার কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান সমন্বয়ক, চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CSUST) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল খান বিজয় বলেন, বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে বাদ পড়েনি আমার ছোট্ট সোনার বাংলাদেশ। মহামারির কারণে বাংলাদেশের মানুষ আজ ঘরে বন্দি। মধ্যবিত্ত ও গরীব দুঃখী দিনমজুর পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট,অর্ধাহার,অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই ঐ অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর সামান্য প্রচেষ্টা করেছি। পিএইচডি স্টুডেন্ট ফারুক পিয়াস ও জনাব করিমের মতো নাম না জানা অনেকেই এই আয়োজনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে নিরবে সহযোগিতা করে গেছেন। সত্যি কথা বলতে সংগঠনের প্রতিটি সদস্য এবং BSUC Help Zone Covid-19 এর প্রতিটি সেচ্ছসেবক নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছেন সহযোগিতা করার জন্য। তাদের সহযোগিতার কারনেই আমরা এই উদ্যোগ সফল করতে পেরেছি। সকল সম্মানিত সদস্যদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং সুবিধাভোগী মানুষের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি এবং মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমার সকলেই আকুল পার্থনা করছি যাতে এই বৈশ্বিক মহামারি নির্মূল হয়ে যায়। সর্বোপরি সংগঠন যেন আজীবন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারে,সর্বদা সে প্রচেষ্টাই করে যাব।” ইনশাআল্লাহ
এছাড়াও একাজে অত:প্রতভাবে সহায়তা করেন সংগঠনটির অন্যতম সম্মানিত সদস্য ও অ্যাডমিন পিএইচডি স্টুডেন্ট রেবেকা সুলতানা স্নেহা, অ্যাডমিন পথিক লিংকন খান, অ্যাডমিন মোজাহিদ হাসান রিপন (CUMT), অ্যাডমিন জাবের, অ্যাডমিন অর্পিতা, আছাদুজ্জামান, সাইয়ুম,মেহেদী হাসান, সোহান, জিসান, রওনোক, ফারাবি, ফরহাদ, মিজানুর সহ আরোও অনেকে।