নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের কাজিরবাজার আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় বর্তমানে এক ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছে।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্টিত এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন সুনামের সহিত পথ অতিক্রম করলেও বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যালয়ের অগ্রগতিকে গ্রাস করছে।
বিশেষ করে প্রশাসনিক অব্যস্থাপনা,শিক্ষক সংকট,অবকাঠামো সংকট,স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি গ্রাস করে ফেলছে বিদ্যালয়টিতে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধানশিক্ষক পদটি দীর্ঘদিন থেকে শূন্য, বারবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে নিয়োগ হচ্ছে না।
অথচ উক্ত পদটিতে বর্তমানে সভাপতির নিকট আত্নীয় অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে দায়িত্ব পালন কারানো হচ্ছে।তাছাড়া কথিত শিক্ষক অবসরপ্রাপ্ত হয়েও স্বপদে বহাল থেকে দীর্ঘ ১ বছরের উপর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় উপস্হিতি স্বাক্ষর না দিয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছেন।তিনি স্থানীয় ও সভাপতির মদদ পুষ্ট হওয়ায় প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন এতে অন্যান্য শিক্ষকগণ কোনঠাসা। এমনকি জানাগেছে, খোদ প্রধান শিক্ষকও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, উনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে দায়িত্ব পালন করছেন যা সবাই মেনে নিতে পারছেনা, নাজেহালের শংকায় এর প্রতিবাদও করতে পারছেননা। এতে পড়ালেখাসহ সার্বিক ব্যবস্হাপনায় প্রভাব পড়ছে এমনকি নতুন শিক্ষক নিয়োগেও অন্তরায়।
এছাড়াও সভাপতি কমিটি গঠনের আগে প্রশাসনিক ভবন নিজস্ব অর্থায়নে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের অগ্রগতি বলতে পিলার হওয়া ছাড়া কোন দৃশ্যমান নেই।
নিজস্ব অর্থ বললেও এখন বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে তসরুপ করার অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
এমনকি বিল্ডিং কাজের বিলম্বের কারণে ছাত্রছাত্রী খেলাধুলা,পড়ালেখাসহ সামগ্রিক বিষয়ে লেজেগোপুরে অবস্হা।
উপরোক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে কমিটির বিভিন্ন সদস্যের সাথে আলাপ করে সত্যতা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য যে, এসমস্ত বিভিন্ন অসংগতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক শিক্ষক নুরুল হক পদত্যাগ করেছেন।
এহেন অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ এবং এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়কে স্বজনপ্রীতি,দূর্নীতি ও অব্যবস্হাপনার হাত হতে রক্ষা করতে এলাকাবাসী,অভিভাবকবৃন্দ,সচেতনমহল উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এদিকে আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রতিভা রানী চক্রবর্তীকে বার বার টেলিফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রাক্তন শিক্ষক খয়রুল হক চৌধুরী আতার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হলে তিনি শারীরীক অসুস্থতার কথা বলে প্রতিবেদকের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।