আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তার দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধানের ভিত্তিহীন অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থ অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।
সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রাচ্যে তার ভাষায় ইরানের প্রভাব বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি এ মন্তব্য করলেন।
তিনি মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ না করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হচ্ছে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি মূল বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া, প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তাকে তেহরান নিজের নিরাপত্তা মনে করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাসেমি তার দেশের ব্যাপারে মাইক পম্পেও’র বক্তব্যকে অন্যায়, অনভিপ্রেত ও মধ্যপ্রাচ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এই সস্তা বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা এই মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো। এ অঞ্চলে আমেরিকার অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং ইরান সীমান্তের কাছে মার্কিন সেনা সমাবেশের কারণেই বরং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে না। আমেরিকার সেনা উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপ না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেদের মধ্যকার ছোটখাট মতপার্থক্যগুলো বহু আগে মিটিয়ে ফেলতে পারত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমেরিকার উদ্বেগ বাড়ছে। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বৃদ্ধিতে আমেরিকার এই উদ্বেগ কয়েকগুণ বেশি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। (পার্সটুডে)