স্টাফ রিপোর্টার: জুয়েনা নামে এক মহিলা গরু চোরনীকে হাতে নাতে ধরে গরু সমেত পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে জনগন। আর পুলিশ তাকে রাতের বেলায় ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরদী উপজেলার রামপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
থানার ইনচার্জ এসআই মুরাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ঘটনার প্রেক্ষাপট হচ্ছে মনোহরদী উপজেলার উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে গরু চুরি। প্রতি বছর সেখানে শত শত গরু চুরি হয়। এতে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে যায়। কিন্তু গরু চোরেরা প্রভাবশালীদের ছত্রছাতায় থাকার কারণে তাদের নাগাল খুব কমই পাওয়া যায়।
গত শনিবার দুপুরে জুয়েনা নামে এক মহিলা গরু চোরনী খিদিরপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চর থেকে জনৈক গোপাল বর্মনের একটি ষাড় গরু চুরি করে নিয়ে যায়। চোরনী গরুটি নিয়ে চরআহমদপুর গ্রামে পৌছলে এলাকাবাসী জিজ্ঞেস করে গরু কোত্থেকে এনেছে। প্রত্যুত্তরে চোরনী জুয়েনা জানায় সে গরুটি রামপুর থেকে ভাগী এনেছে। এর কিছুক্ষণ পরই খবর পৌছে যায় যে সে, জুয়েনা গরুটি চুরি করে এনেছে।
এলাকার লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মুরাদের নিকট সোপর্দ করে। এসআই মুরাদ তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে। কিন্তু রবিবার সকালে তাকে কোর্টে চালান দেয়ার পরিবর্তে রাতেই তাকে ফাঁড়ি থেকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এলাকার লোকজন ঘটনাটি সাংবাদিকদেরকে অবহিত করে।
সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে এসআই মুরাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গরুর মালিক গোপাল বর্মনকে ডেকে আনা হয়েছিল জুয়েনার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। কিন্তু গোপাল বর্মন মামলা করতে রাজী না হওয়ায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চোরনী জুয়েনাকে আটক করার পর সে ফাঁড়িতে এভাবে কাঁদতে থাকে যে, তার কান্না দেখে এসআই মুরাদও তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে যায়। তাছাড়া রামপুর পুলিশ ফাঁড়িতে মহিলা পুলিশ না থাকায় তাকে আটক করে রাখা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তিনি চোরনী জুয়েনাকে স্থানীয় খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছেড়ে দেন।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই