কেন্দ্র দখল ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত তিন মেয়রপ্রার্থী ভোট থেকে ‘সরে দাঁড়ানো’র ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার সকালে ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে এ ঘোষণা দিয়ে পুণঃভোটের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এই তিন প্রার্থী হলেন- সন্দ্বীপের আজমত উল্লাহ বাহাদুর, রাউজানের আবদুল্লাহ আল হাসান ও রাঙ্গুনিয়ার মো. হেলাল উদ্দিন খান। তারা সবাই ধানের শীষের প্রার্থী।
আজমত উল্লাহ অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, “সন্দ্বীপের ১৫টি কেন্দ্রের সবগুলোই সরকারদলীয় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়েছে। আমাদের সকল এজেন্টকে বের করে দিয়েছে।”
এর প্রতিবাদে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রাউজানে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান রাউজানে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির প্রার্থী হেলাল উদ্দিনও কেন্দ্র দখল ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে রাউজানে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, “রাত থেকে বহিরাগতরা এসে কেন্দ্র দখল করে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিজেকে ভোট থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।”
সন্দ্বীপে জাফরুল্যা, রাঙ্গুনিয়ায় মো. শাজাহান সিকদার এবং রাউজানে দেবাশীষ পালিত নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট পৌরসভায় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মঈনুদ্দিন লিটন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন।
তিনিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, জোর করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রামের নির্বাচনী মনিটরিং সেলের সদস্য সচিব গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, “পৌরসভা নির্বাচন একটি দলীয় নির্বাচন। এখানে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।”
অগ্রদৃষ্টিকে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় রাত থেকেই ‘বহিরাগতরা’ কেন্দ্র দখল করেছে। সকালে বিএনপি কর্মী ও এজেন্টদের ‘হুমকি ধামকি’ দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
“দখল, হামলা, নির্যাতন সত্ত্বেও আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব,” বলেন এই বিএনপি নেতা।