খ ম জুলফিকার, মৌলভীবাজারর থেকেঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীষ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের গাড়ি বহরে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সাথে সুলতান সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। সুলতান সমর্থকের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন পুলিশ সুলতান মনসুরের গাড়ি বহরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর অকারনেই ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। এসময় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। তবে পুলিশ বলছে সুলতান মনসুর নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বাধা দেয়। এসময় সুলতান মনসুর সমর্থকদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ২টার দিকে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদরে সমর্থকেরা রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পুরসাইবাজার থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন দিতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয় পরে চাঠিচার্জও করে। পুলিশি বাধা কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। পরে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক তিনবারের সাংসদ এড. নওয়াব আলী আব্বাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় দেবনাথ জানান-‘ওই ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। আমার এক পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করেছেন সুলতান মনসুর স্যার।’ কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন-‘একটি গোলযোগের চেষ্টার খবর পেয়ে আমার পুলিশ সদস্য রাউৎগাঁও এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় উনার (সুলতান মনসুর) বডিগার্ড, সমর্থকরা আমার তিন পুলিশ অফিসারকে মারধর করে অভিযোগ করেন।’