এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে ইন্টারনেট। প্রায় দেড় ঘণ্টা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকল বাংলাদেশ। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ও ভাইবার বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। তবে এর পর থেকেই সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিষয়টি জানান।
দুপুর সোয়া ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কেউ কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর ইন্টারনেট সংযোগ ফিরতে শুরু করলেও সামাজিক যোগাযোগের কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রয়েছে এখনও। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় পর ইন্টারনেট সচল করা হয়।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারফিউয়ের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও ইন্টারনেট চালু ছিল। এরপর একবার বিটিআরসি ইন্টারনেটের আপলোড গতি কমানোর নির্দেশনা দিলেও ইন্টারনেট তখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অবশ্য ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রেরিয়াল কেবল (সাবমেরিন কেবলের বিকল্প) সংযোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে একমাত্র সাবমেরিন কেবলে সমস্যা হলে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারতেন না।
এদিকে , সামাজিক যোগাযোগের চারটি মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার বিটিআরসি এ নির্দেশনা দেয় বলে সংস্থাটির উচ্চ পর্যায়ের সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে বিটিআরসি এ নির্দেশনা জারি করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।