চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)ঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে একটি ড্রেন নির্মাণে বরাদ্ধের প্রায় অর্ধেক টাকাই আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বিরের বড় মায়েরকুল গ্রামের বসতবাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তার পার্শ্বে প্রায় ৩শ’ফুট ড্রেন নির্মানে ৩লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়। কিন্তু ১শ’৬৫ফুট নির্মাণের পর রহস্যজনক কারনে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে গ্রামের ৩২পরিবার চেয়ারম্যানের কাছে কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বরাদ্ধের টাকা শেষ হয়ে গেছে বলে জানান। তারা বিষয়টি সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিককে অবহিত করলে দেখা দেয় চেয়ারম্যানের সাথে তাদের বিরোধ। ২৯জুলাই রাতে এনিয়ে কাচা মিয়ার ছেলে রহমত আলীর ঘরে হামলা চালায় সহোদররা। এতে রহমত আলী, স্ত্রী পিয়ারা বেগম, মেয়ে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী পান্না বেগম ও ভাতিজা গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজের ছাত্র শাহিন আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে পিয়ারা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪আগষ্ট থানার এসআই কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় রহমত আলীর সহোদর বশরের স্ত্রী মুক্তা বেগম থানায় আরেকটি অভিযোগ দেন। পুলিশ আসার পর চেয়ারম্যানের লোকজন জনৈক জালালকে জোরপূর্বক পুলিশে দেয়ার অপচেষ্টা করলে আব্দুল খালিকের স্ত্রী মকবুল খাতুন গুরুতর আহত হয়। তাকে সিলেট ওসমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে জালালের পিতা মাফিজ আলী বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার পুত্রকে ধরে ব্যাপক মারধোর করেছে ইলিয়াছ, মকবুল, মিজাজ, দিলোয়ার, বশরও জয়নালসহ ১০/১২জন লোক। এঘটনায় খুরমাবাজারে হাজী মরম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বৈঠকে করম উল্লাহ, ময়না মিয়া, কাপ্তান মিয়াসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আব্দুল হান্নান অভিযেগ করে বলেন, ড্রেনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছে বন্ধের কারন জানতে চাওয়া ও নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় বিরুধের সূত্রপাত ঘটে। এতে
মামলাসহ সবকিছু তিনিই নিয়ন্ত্রন করছেন। এ ব্যাপারে ছাতক থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, পিয়ারা বেগমের অভিযোগে তিনি ঘটনাস্থলে আসলে ৩নং আসামী জালালকে গ্রামের কিছু লোক ধরে ছেড়ে দেন এবং পরে এক মহিলাকে গুরুতর আহত করে। চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির জানান, আসামী জালালকে আবদাল, সুজনসহ অনেকে ছাড়িয়ে নেন। তিনি এব্যাপারে থানায় একটি মামলা করেছেন বলে জানান। লিয়াকত আলীর স্ত্রী জলিকা বেগমও রহমত আলীর কন্যা স্কুল ছাত্রী পান্না বেগম জানান, প্রতিপক্ষরা রাত প্রায় সাড়ে ৯টায় ঘরে প্রবেশ করে হামলা করে তার মা, বাবা ও কলেজ ছাত্র চাচাতো ভাই আহত হয়। এরপর অপর পক্ষে মামলা দেয়ায় বাড়িতে কেউ নেই। এসুযোগে একটি মহল প্রত্যহ রাতে ঘরের চার পার্শ্বে অবস্থান নিয়ে টিনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পান্নাও তার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ জানান, তার স্কুলের ছাত্রীকে মারধরের বিষয়টি তিনি খোজ-খবর নিবেন।