আ হ জুবেদঃ কুয়েত প্রবাসী সংগঠক এস এম আব্দুল আহাদ হত্যা মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে (৩১শে আগস্ট ২০২০) আহাদ হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলেও এখনো আহাদ হত্যাকারী পলাতক একাধিক আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি এবং মামলার অগ্রগতি আশানুরূপ নয় বলে অভিযোগ করেন আহাদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষ।
কুয়েত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরামের সহ-সভাপতি বাংলাদেশে স্বল্পকালীন ছুটিতে গিয়ে ২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট জিন্দাবাজার তাঁতীপাড়ার গলির মুখে নৃশংস খুনের শিকার হোন।
এস এম আব্দুল আহাদ হত্যাকাণ্ডের পর কুয়েত আওয়ামীলীগ, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরাম, কুয়েত প্রবাসী সিলেট কমিউনিটি সহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়, পাশাপাশি বাংলাদেশেও আহাদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে মানবন্ধন করেন নিহত আহাদের এলাকার সকল শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ।
২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট, আহাদ খুনের এক দিন আগে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সিলেটে এক জনসভায় আহাদের যোগদানের কথা উল্লেখ করে কুয়েত আওয়ামীলীগ একাংশের সভাপতি আতাউল গনি মামুন বলেন, আহাদ আমাদের আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ ও নিষ্ঠাবান একজন কর্মী ছিল, আমরা তাকে হারিয়ে অবর্ণনীয় ব্যথিত।
দেশে-বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিও জানান কুয়েত আওয়ামীলীগ সভাপতি আতাউল গনি মামুন।
সৌদি প্রবাসী আহাদের বড় ভাই মোশাহিদ আহমেদ বলেন, আমার ভাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জেবিত একজন সৈনিক ছিল, দেশে এবং বিদেশে থাকাকালীনও পরিবারকে সময় না দিয়ে সংগঠনের জন্য সময় দিয়েছে, সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেছে আওয়ামীলীগের জন্য।
আফসোস করে মোশাহিদ বলেন, একজন মুজিব সৈনিকের হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি এরকম বিলম্বিত হয়, তাহলে আমরা যাবো কোথায়?
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিন্দাবাজারের তাঁতিপাড়া গলির মুখে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা কুয়েত প্রবাসী সংগঠক ও কলম সৈনিক এস এম আব্দুল আহাদকে।
এর আগের দিন ২০১৮ সালের ৩০ শে আগস্ট সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন প্রবাসী নেতা এস এম আব্দুল আহাদ।
পরে ২ সেপ্টেম্বর এস এম আব্দুল আহাদের স্ত্রী রাসনা বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
সেই মামলায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সাধুর বাজারের তারা মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম শান্ত (৩৬), বিয়ানীবাজারের মাথিউরা বাজারের আব্দুল মালিকের ছেলে মাহমুদুর রহমান লায়েক (২৮), গোলাপগঞ্জের উত্তর রায়গড়ের কামরুল হাসানের ছেলে মুরাদ হোসাইন রানা (২৫), ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরের ফিরোজ আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ জালাল (২৭), বিয়ানীবাজারের চারখাই জালালনগরের ময়নুল হোসাইন চৌধুরীর ছেলে হোসেন মুরাদ চৌধুরী (৪১) এবং সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সূর্যেরগাঁওয়ের আশীষ কুমার চক্রবর্তীর ছেলে অভিষেক চক্রবর্তী মিথুন (২৫)। তাদেরকে দন্ডবিধির ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়।