অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশিদের আতিথেয়তার সুনাম বিশ্বজোড়া। আর তা এবার নিজ চোখেই দেখে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বঙ্গভবনে ১০ পদের খাবার দিয়ে নৈশভোজ সেরেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেওয়া নৈশভোজে চায়না প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে অংশ নেন শেখ হাসিনা, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কূটনীতিকরা।
বাঙালি-চায়নিজ দুই ধরনের খাবারই ছিলো নৈশভোজের তালিকায়। শি জিনপিং খাবার শুরু করেন চিংড়ি ও মাশরুমের স্যুপ দিয়ে। তার সঙ্গে ছিল স্মোকড ইল, সালাদ ও ঝিনুকের সস।
বাঙালি খাবারের মধ্যে ছিলো কাচ্চি বিরিয়ানি। বিরিয়ানির সঙ্গে একটু টিকিয়া আর কাবাবতো লাগেই। আর চীনের প্রেসিডেন্টের নৈশভোজে দেওয়া হয় চিকেন টিকিয়া আর শামি কাবাব। কাবারের সঙ্গে বাদ যায়নি চাটনিও।
বাঙালিদের প্রধান খাবার ভাত তাইবা বাদ যায় কি করে। শি জিনপিং এর খাবারের তালিকায় ছিল সাদা ভাত। আরো ছিলো মাংস পেঁয়াজের ভূনা আর মিক্সড ভেজিটেবল।
খাবারের পর একটু মিষ্টি মুখ করা বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে অনেক আগে থেকেই। সে পদও বাদ যায়নি। ছিল মালাই চপ, কেক আর বাহারী ফল।
খাবারে বাড়তি মাত্রা এনে দেয় সংস্কৃতিমনা বাঙালিদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খাবারের সময় দরবার হলে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।