অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ ভারতের আসাম রাজ্য থেকে যে হাতিটি ব্রহ্মপুত্র নদ হয়ে বাংলাদেশে ভেসে গেছে, সেটিকে উদ্ধারের জন্য তিন সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে যাবে।
মধ্য আসামের কোনও জঙ্গল থেকে হাতিটি ব্রহ্মপুত্র নদে নেমেছিল। তারপর জলের তোড়ে সেটি ভেসে যেতে থাকে।
গুয়াহাটি, ধুবড়ি প্রভৃতি জেলা দিয়ে গিয়ে সেটি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে জুনমাসের শেষের দিকে।
প্রায় একমাস ধরে নদীতে সাঁতার কাটছে হাতিটি। মাঝে মাঝে ব্রহ্মপুত্রের চরগুলিতেও আশ্রয় নিচ্ছে সেটি।
হাতিরা একটানা দীর্ঘপথ সাঁতরে পার করতে পারে।
আসামের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ বিভাগ) বিকাশ ব্রহ্ম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “আমরা সরকারের চূড়ান্ত অনুমতি আর ভিসা প্রভৃতির জন্য অপেক্ষা করছি। সেসব হয়ে গেলেই তিনজন হস্তীবিশেষজ্ঞকে আমরা বাংলাদেশে পাঠাব। তাঁরাই সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে, সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন কী ভাবে হাতিটিকে ফেরত আনা যেতে পারে।“
হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বেহুঁশ করা সম্ভব কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
তবে বাংলাদেশের বনবিভাগ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে আসামের বনকর্তাদের মনে হয়েছে সেটা করার উপযুক্ত সময় হয়তো এখনও আসে নি।
মি. ব্রহ্ম বলছিলেন, “জল না কমা পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। সেটা দু`মাস বা তিনমাসও হতে পারে। বিশেষজ্ঞ দল সেদেশে গিয়ে কী রিপোর্ট দেন, সেটা আগে দেখি।“
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরনোর আগে পর্যন্ত আসামের বনদপ্তর নৌকা আর স্টীমার নিয়ে হাতিটিকে অনুসরণ করেছে। একাধিকবার ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে সেটিকে আটক করার।
“ব্রহ্মপুত্রে এখন খুব জলস্রোত। তার মধ্যে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে সেটিকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা অসম্ভব। তাই আমরা শুধু নজরদারিই চালাতে পেরেছি,” বলছিলেন বিকাশ ব্রহ্ম।
শুধু বনবিভাগ নয়, ধুবড়ি জেলার সীমান্ত পেরনোর সময়ে হাতিটির দিকে নজর ছিল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফেরও।
তারা সীমান্তের ওপারে বিজিবি-কেও হাতিটির অবস্থান সম্পর্কে খবর দিয়ে রেখেছিল।