
জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে এ আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন ডি.সিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডি.সিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে এবং শনিবার ওয়াশিংটন ডি.সিতে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে নানা আয়োজন করেন তারা।
দূতাবাসের আয়োজনে কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতির পরিচালনায় স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
প্রবাসীদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী এবং অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
রাষ্ট্রদূত ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে প্রবাসীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মত দেন তিনি।
সেমিনারে দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. ফজলে রাব্বি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন আলাদা দুটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। ফজলে রাব্বি তার প্রেজেন্টেশনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ আবহ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা যেমন সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ওপর আলোকপাত করেন।
মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন তার প্রেজেন্টেশনে দূতাবাসের কনস্যুলার পরিসেবাগুলো তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর), পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ও ট্র্যাভেল পারমিট সেবা। সেইসঙ্গে তিনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন।
ওয়াশিংটন ডি.সি. এবং আশপাশের অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর।
অন্যদিকে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে উদযাপিত অনুষ্ঠানে সেবাপ্রার্থীদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানান কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।
তিনি কনস্যুলেটে সেবাপ্রার্থীদের বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
‘প্রবাসীদের কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গীকার- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’ স্লোগানে দিবসটির নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা। উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি নাসিরউদ্দিন।