আগামীকাল আপনি কোথায় যেতে চান তা নিয়ে কি কখনো স্বপ্ন দেখেছেন? এই কাজটি কিন্তু ইঁদুর করে।
মানুষের মত ইঁদুররাও তাদের মস্তিষ্কে চারপাশের মানচিত্র অংকন করে হিপ্পোক্যাম্পাস দ্বারা। হিপ্পোক্যাম্পাস স্বল্প-স্থায়ী স্মৃতির তথ্যসমূহকে একত্র করে দীর্ঘ-স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেরিব্রাল কর্টেক্সের নীচে এটি পাওয়া যায়।
মানুষের মত ইঁদুররাও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্বপ্ন দেখে। গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে, যখন একটি ইঁদুর তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না তখন সে তার গন্তব্যে পৌঁছোবার জন্য স্বপ্নে একটি মানচিত্র তৈরি করে নেয়। এই ধরণের গবেষণার ফলে ঘুমের সময় মানুষের স্বপ্নের মধ্যে কিরূপ ক্রিয়াকলাপ চলে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করেন।
ইঁদুর একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে যখন থাকে তখন “প্লেস সেলস” বা “অবস্থান কোষ” কার্যকর থাকে। ঠিক একইভাবে এই কোষ কাজ করে যখন ইঁদুর ঘুমিয়ে পরে। ঘুমানোর সময় ইঁদুর তার অতীত অবস্থান সম্পর্কে স্বপ্ন দেখে।
গবেষকরা ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা করার পর দেখতে পান যে ইঁদুর কেবল তার অতীত অবস্থান সম্পর্কেই স্বপ্ন দেখে না বরং সে একইভাবে ভবিষ্যৎ এ কোথায় যেতে চায় তা নিয়েও স্বপ্ন দেখে।
হিপ্পোক্যাম্পাস আমাদের ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে সেইসাথে আমাদের অতীত স্মৃতি এনকোডিং করতে সাহায্য করে। কিছু মানুষের হিপ্পোক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস হওয়ার ফলে তারা ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে কল্পনা কিংবা স্বপ্ন দেখতে পারে না।
ইঁদুরের উপর করা এই গবেষণার ফলে মানুষের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং মানসিক মানচিত্র গঠনে সাহায্য পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীরা যদি নির্দিষ্ট মস্তিষ্কের কোষের কার্যকলাপ রেকর্ড করতে পারেন তাহলে তারা অনুধাবন করতে পারবেন মস্তিষ্ক কিভাবে নতুন জায়গার মানচিত্র তৈরি করে সে ব্যাপারে।