Menu |||

‘সৌদি আরব ও ইসরায়েলের বড় শত্রু ইরান’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের নেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তাদের দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ তাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম বিদেশ সফর সৌদি আরবে গিয়ে তিনি বলেছেন, মার্কিন সামরিক শক্তির ওপর ভরসা না করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উচিৎ হবে নিজেরাদেরই এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো।

তিনি ইরানকে জাতিগত দ্বন্দ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাষণে ইসলামী বিশ্বের প্রতি ঠিক কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?

বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন পি ইউনিভার্সিটির সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক তাজ হাশমি।

মি: হাশমি বলেন “ওনার (ট্রাম্প) প্রথম বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। মুসলমানদেরকেই যুদ্ধ করতে হবে। অন্যের সাহায্য নিয়ে ইসলামিস্ট টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করাটা একটা দুরাশা মাত্র।”

কিন্তু ইরানকে চিহ্নিত করে বলা হচ্ছে, তারা সন্ত্রাসবাদের পেছনে কাজ করছে। এটাকে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য মনে করেন মি: হাশমি।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গ টেনে মি: হাশমী বলেন, ” তিনি বলেছিলেন যে ইসলাম আমাদের ঘৃণা করে। তারপর তিনি একটি টেম্পোরারি ব্যান দিয়েছিলেন যে মুসলমান কোন ভিজিটর আসতে পারবে না। উনি সবসময় ইসলামিক টেরোরিজম শব্দটা ব্যবহার করতেন। ”

কিন্তু সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শব্দগত পরিবর্তন এনেছেন। আগে তিনি ‘ইসলামিক টেরোরিজম’ শব্দটি ব্যবহার করতেন।

কিন্তু রিয়াদ সম্মেলনে তিনি প্রথমবারের মতো ‘ইসলামিস্ট টেরোরিজম’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এটিকে অনেক গ্রহণযোগ্য শব্দ মনে করেন মি: হাশমী।

অধ্যাপক হাশমির মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের ভেতরে রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের চাপে পড়েছেন।

অনেকে মনে করছেন, মি: ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টও হতে পারে। সে বিষয়টিকে পাশ কাটানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো নতুন কোন ‘খেলা খেলছেন’ বলে মনে করেন মি: হাশমি।

এ বিষয়টি কোন সুদূরপ্রসারী ফলাফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করেন না।

নির্বাচনের আগে মি: ট্রাম্প মুসলমানদের বিপক্ষে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হবার পর মি: ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরব।

সেখানে মুসলিম বিশ্বের ৩৪টি দেশ যোগ দিয়েছে। সেখানে তিনি ইসলাম এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে কথা বলেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথাবার্তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?

ডেনাল্ড ট্রাম্প

ডেনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম বিশ্বের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে বেশ সংশয় আছে।

হাশমি বলেন, ” দেখুন বাংলাদেশ থেকে আমাদের প্রতিনিধি গিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ লোকজন .. পাকিস্তান থেকে নোয়া শরীফ গেছেন। পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও পছন্দ করেনা , সৌদি আরবকেও পছন্দ করেনা। তারা আইসিস বিরোধী। সবচেয়ে বড় কথা তারা ইসরায়েল বিরোধী।”

যুক্তরাষ্ট্র এ সামিট থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

কারণ যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে এবং আগামী ১০ বছরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে।

সুতরাং এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয়ত, এ ধরনের উদ্যোগ থেকে লাভবান হবে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব।

কারণ এ দুটো দেশ ইরানকে তাদের বড় শত্রু হিসেবে দেখছে।

সৌদি আরব এবং ইসরায়েল মনে করছে আণবিক শক্তি হিসেবে যে কোন সময় ইরানের আবির্ভাব হতে পারে।

সেজন্য তাদের খুশি করতে করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে আলাদাভাবে আলোচনা করছে।

সূত্র, বিবিসি বাংলা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে মুরাদুল হক চৌধুরীকে সম্মাননা

» তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা

» মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন

» কুয়েতে সংবর্ধিত হলেন মুরাদুল হক চৌধুরী

» সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঝড়বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৪

» তাপদাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

» কুয়েতে প্রবাসী নারীদের সংগঠন উদযাপন করেছে পহেলা বৈশাখ

» কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

» কুয়েতে বাংলাদেশ ভবনে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রবাসীদের শুভেচ্ছা বিনিময়

» মালয়েশিয়ার মিনি ঢাকায় ‘রেস্টুরেন্ট মনির ভাই’ উদ্বোধন

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

‘সৌদি আরব ও ইসরায়েলের বড় শত্রু ইরান’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের নেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তাদের দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ তাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম বিদেশ সফর সৌদি আরবে গিয়ে তিনি বলেছেন, মার্কিন সামরিক শক্তির ওপর ভরসা না করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উচিৎ হবে নিজেরাদেরই এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো।

তিনি ইরানকে জাতিগত দ্বন্দ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাষণে ইসলামী বিশ্বের প্রতি ঠিক কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?

বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন পি ইউনিভার্সিটির সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক তাজ হাশমি।

মি: হাশমি বলেন “ওনার (ট্রাম্প) প্রথম বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। মুসলমানদেরকেই যুদ্ধ করতে হবে। অন্যের সাহায্য নিয়ে ইসলামিস্ট টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করাটা একটা দুরাশা মাত্র।”

কিন্তু ইরানকে চিহ্নিত করে বলা হচ্ছে, তারা সন্ত্রাসবাদের পেছনে কাজ করছে। এটাকে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য মনে করেন মি: হাশমি।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গ টেনে মি: হাশমী বলেন, ” তিনি বলেছিলেন যে ইসলাম আমাদের ঘৃণা করে। তারপর তিনি একটি টেম্পোরারি ব্যান দিয়েছিলেন যে মুসলমান কোন ভিজিটর আসতে পারবে না। উনি সবসময় ইসলামিক টেরোরিজম শব্দটা ব্যবহার করতেন। ”

কিন্তু সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শব্দগত পরিবর্তন এনেছেন। আগে তিনি ‘ইসলামিক টেরোরিজম’ শব্দটি ব্যবহার করতেন।

কিন্তু রিয়াদ সম্মেলনে তিনি প্রথমবারের মতো ‘ইসলামিস্ট টেরোরিজম’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এটিকে অনেক গ্রহণযোগ্য শব্দ মনে করেন মি: হাশমী।

অধ্যাপক হাশমির মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের ভেতরে রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের চাপে পড়েছেন।

অনেকে মনে করছেন, মি: ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টও হতে পারে। সে বিষয়টিকে পাশ কাটানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো নতুন কোন ‘খেলা খেলছেন’ বলে মনে করেন মি: হাশমি।

এ বিষয়টি কোন সুদূরপ্রসারী ফলাফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করেন না।

নির্বাচনের আগে মি: ট্রাম্প মুসলমানদের বিপক্ষে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হবার পর মি: ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরব।

সেখানে মুসলিম বিশ্বের ৩৪টি দেশ যোগ দিয়েছে। সেখানে তিনি ইসলাম এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে কথা বলেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথাবার্তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?

ডেনাল্ড ট্রাম্প

ডেনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম বিশ্বের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে বেশ সংশয় আছে।

হাশমি বলেন, ” দেখুন বাংলাদেশ থেকে আমাদের প্রতিনিধি গিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ লোকজন .. পাকিস্তান থেকে নোয়া শরীফ গেছেন। পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও পছন্দ করেনা , সৌদি আরবকেও পছন্দ করেনা। তারা আইসিস বিরোধী। সবচেয়ে বড় কথা তারা ইসরায়েল বিরোধী।”

যুক্তরাষ্ট্র এ সামিট থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

কারণ যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে এবং আগামী ১০ বছরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে।

সুতরাং এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয়ত, এ ধরনের উদ্যোগ থেকে লাভবান হবে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব।

কারণ এ দুটো দেশ ইরানকে তাদের বড় শত্রু হিসেবে দেখছে।

সৌদি আরব এবং ইসরায়েল মনে করছে আণবিক শক্তি হিসেবে যে কোন সময় ইরানের আবির্ভাব হতে পারে।

সেজন্য তাদের খুশি করতে করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে আলাদাভাবে আলোচনা করছে।

সূত্র, বিবিসি বাংলা

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (রাত ২:৫১)
  • ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

Exchange Rate

Exchange Rate EUR: শনি, ২৭ এপ্রি.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 / +8801920733632

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।