ষ্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ সৌদি আরবে মার্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝিনাইদহের মা-ছেলে নিহত,বাবা-মেয়ে আহত হয়েছে। সৌদিপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম শেখ ওমরাহ শেষে স্বপরিবারে মাইক্রোবাস যোগে শনিবার মক্কা থেকে রিয়াদের বাড়ী ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়ার সৌদিপ্রবাসী সাইফুল ইসলাম শেখের স্ত্রী শিউলী বেগম (৩৫) ও তার ছেলে ঝিনাইদহ আলহেরা স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র ওমর আল সাইম (১১)। দুর্ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (৫০) ও তার মেয়ে আলহেরা স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী শাম্মী আক্তার (১৪) আহত মারাত্মকভাবে আহত হয়ে সৌদি আরবের রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে পরিবার জানান। শনিবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ খবর ঝিনাইদহের বাড়ীতে পৌছালে পরিবারটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া। সাইফুল ইসলাম শেখের বড় মেয়ে সায়মা ইসলাম জানান, তারা দুই বোন এক ভাই। তার পিতা সাইফুল ইসলাম ২২ বছর আগে ঝিনাইদহ থেকে সৌদি আরবে যান। তিনি রিয়াদ শহরের সিপাই-সানাইয়া শহরের মদিনা প্রেট্রোল পাম্পের পাশে ওয়ার্কশপ এর ব্যবসা করতো। গত ১৮ জানুয়ারি আমার ছোট ভাই,বোন ও মাকে নিয়ে ওমরাহ হজ্জ্ব সহ বেড়ানোর জন্যে ৬ মাসের সফরে সৌদি আরবে যান। তারা ওমরাহ শেষে গতকাল শনিবার সকালে একটি মাইক্রোবাস যোগে মক্কা থেকে রিয়াদের বাড়ী ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ভাই মারা যায় এবং বোন ও পিতা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সায়মা আরো জানান, রবিবার সকাল ১১টার সময় তার পিতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন তার ছোট বোন সহ তিনি সুস্থ্য হতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। সুস্থ্য হওয়ার পরেই নিহত স্ত্রী-পুত্রের লাশ নিয়ে তিনি দেশে ফিরবেন। সাইমা এখন তার মা ও ভাইয়ের লাশের অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছেন।
রবিবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শেখপাড়ায় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম।আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীও এ ঘটনায় শোকাহত হয়ে পড়েছে। দেশে থাকা একমাত্র বড় মেয়েকে কোনভাবেই শান্তনা দিতে পারছে না প্রতিবেশীরা। এ ব্যাপারে ঝিনাইাদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, সৌদি আরবে মার্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার কোন খবর আমার জানা নেই।