শুক্রবার সকালে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের গোপালচরণ এলাকার ব্র্যাক মোড়ের কাছে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। বন্দুকের গুলি সৌরভের এক পায়ে ভেদ করে বেড়িয়ে যায় এবং অন্য পায়ের ভেতর গুলি থেকে যায়। সৌরভ সুন্দরগঞ্জের গোপালচরণ এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে।
সরজমিনে জানা যায়, সংসদ সদস্য লিটন সকালে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাড়ি উপজেলার বামনডাঙ্গা থেকে বের হন। তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের ব্র্যাক মোড়ের কাছে পৌঁছলে সৌরভ রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় সংসদ সদস্য গাড়ি ব্রেক করে সৌরভের উপর ক্ষিপ্ত হন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে সৌরভের দুই পায়ে বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়েন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় সৌরভকে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না পাওয়ায় সৌরভকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সৌরভকে নিয়ে বহনকরা গাড়িটি বামনডাঙ্গা পৌঁছলে সংসদ সদস্যের লোকজন তাতে বাধা দেয়। পরে সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে সৌরভকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থ্যা করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ জানায়, আমি ব্যায়াম করবার লাগছি। এমপি লিটন গাড়িখ্যান বামনডাঙ্গা থেকে আইসছে। আসিয়ে থামাইল, থামাইয়া আবোল তাবোল কয়, কুত্তার বাচ্চা কয়, কয়া গুলি মারিল।’ ‘তিনটা-পাঁচটা (গুলি) মারিয়া, গাড়িখান সোজা আমাদের বাড়ির তেপতির (তিনমাথা) ওডে (উঠে) গেল। যায়া (গিয়ে) জিনিসটা বাইর করিল… কাক্কুক (চাচাকে) ইশারা করি ডাকায়, কাক্কু আইসছে, বমা (গুলি) ভরবার ধরছে, ডাইবর (ড্রাইভার) কাক্কুক ইশারা করছে, এইদেন করি যাইবার কইছে, কাক্কু পালিয়ে গেইছে, তারপর গাড়িডে সোজা সুন্দরগঞ্জ মুখে গেইছে।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ শুভ কুমার দাস অগ্রদৃষ্টি.কম কে বলেন, রোগীর অবস্থা মোটামোটি ভাল আছে। এক্সরে রিপোর্ট পাওয়ার পর রোগীর সম্পর্কে নিশ্চিত বলা যাবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে আমরা তাকে অর্থপেডিক ডির্পামেন্টে পাঠাব।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিন্নাত আলী গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই