সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির টহল দল তাহিরপুরের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির অদুরেই চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসার পথে ভারতীয় মদ – গরুর চালান সহ প্রায় সোয়া ১০ লাখ টাকার চোরাই মালামাল আটক করেছে।
ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল নাসির উদ্দিন আহমেদ পিএসসি জানান, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট গরুর হাটে নিয়ে যাবার পথে লাউড়েরগড় বিওপি’র বিজিবির টহল দল শুক্রবার শিমুলতলা নামক এলাকা থেকে ভারতীয় চোরাই ২০টি গরু আটক করে । আটককৃত গরুর মুল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
অপরদিকে তাহিরপুরের বিন্নাকুলঅ ও মোদেরগাঁও এলাকার একদল মাদক চোরাচালানী জাদুকাটা নদী পথ ব্যবহার করে জামালগঞ্জ , তাহিরপুর ও বাদাঘাট বাজারে মাদকের চালান সরবরাহের পাশর্^বর্তী মাছিমপুর বিওপির বিজিবির অপর একটি টহল দল শরীফগঞ্জ এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকা মুল্যের ৫০ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েস মদ, ৯৬ বোতল ম্যাগ ডুয়েল মদ এবং ১৫ বোতল বিয়ারের আরেকটি চালান করে।
স্থানীয় একাাধিক সুত্র জানায় , উপজেলার লাউড়েরগড় ও চানঁপুর সীমান্ত এলাকার রোড ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি গরু চোরাচারানী চক্র থানার অধেিন থাকা পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে প্রায়শই বাদাঘাট বাজারে ভারতীয় চোরাই গরুর চালান বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, থানার ওসি নন্দন কান্তি ধরের সাথে সীমান্তের গরু ,কয়লা-চুনাপাথর কাঠ, বিড়ি, মাদক, গাাঁজা ও ইয়াবা চোরাকারবারীদের অতি সখ্যতা থাকার কারনে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের চোরাচালান প্রতিরোধে নিরব দর্শকের ভুমিকাই পাালন করতে হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর শনিবার স্থানীয় সংবাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব গরু দেশী না ভারতীয় তা চেনার কোন উপায় নেই, মাদক প্রতিরোধেও পুলিশ তৎপর আছে, চোরাচালানীদের সাথে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।