স্পোর্টস ডেস্কঃ সান্তিয়াগো লাঙ্গে সোনা জিতেছেন। কিন্তু এটি হয়তো মূল খবর নয়। মূল খবর হলো, ক্যান্সার জয় করে সোনা জিতেছেন সান্তিয়াগো। রিও অলিম্পিকের সর্বজ্যেষ্ঠ অলিম্পিয়ান হিসেবে সোনা জিতলেন সান্তিয়াগো। এক জয়ে এমন অনেক গল্পগাথা গড়ে ফেলেছেন এই আর্জেন্টাইন!
শরীরটা বড্ড ভোগায় তাঁকে। গুয়ানাবারা বের তীরে পৌঁছানোর আগে কতোবার ভেঙে পড়েছে শরীর? হিসেব রাখেননি সান্তিয়াগো। তবে জানালেন, “অনেকবার।”
কিন্তু হার মানেননি তিনি। বারবার সাহসের সাথে লড়ে গেছেন। ছয়বারের অলিম্পিয়ান ক্যারিয়ারে প্রথম সোনা জিতলেন ৫৪ বছর বয়সে। ন্যাক্রা ১৭ মিক্স ক্যাটাম্যারার ক্লাসে এবারের গেমসের একাদশ দিনে সোনার পদক উঠেছে তার গলায়।
সব মিলিয়ে এটা স্মরণীয় অলিম্পিক সান্তিয়াগোর জন্য। বললেন, “এই গেমসের পুরোটাই আমার জন্য অবিশ্বাস্য।”
অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন তাঁর দুই ছেলেও। সান্তিয়াগোতে উদ্বোধনী দিনে মার্চপাস্টে অংশ নিয়েছেন ছেলে আয়াগো ও ক্লাসের সাথে। জানালেন, “এটা আমার জন্য খুব আবেগের গেমস। ছেলেদের প্রতিযোগিতা করতে দেখেছি। ছেলেরা আমাকে দেখেছে। আজ তাদের সাথেই উদযাপন করছি। অনেক বেশি পেয়ে গেলাম।” ছেলেরা অবশ্য কোনো পদক জিততে পারেননি।
১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮ এর পর এবারের আসরে অংশ নিয়েছেন সান্তিয়াগো। আগে দুই আসরে জিতেছেন দুটি ব্রোঞ্জ। শেষটি ২০০৮ বেইজিং গেমসে। এই সেইলরের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অলিম্পিক সাফল্যটা আসলো ব্রাজিলে। যেখানে তিনি এসেছেন ক্যান্সারের সাথে লড়ে।
গত বছরই তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ফুসফুসের ক্যান্সার। বাঁ ফুসফুস ফেলে দিতে হয়েছে। একটি ফুসফুস নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। এবং এ অবস্থায় অলিম্পিক জয় করে ইতিহাস গড়লেন সান্তিয়াগো।