খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন নড়াইলের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
একদিকে, ভক্তদের চাপ, অন্যদিকে নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফির হাত ধরে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে নানামূখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। এক কথায় বলা যায়, তিনি এখন সমাজ সেবক মাশরাফি।
গত শুক্রবার থেকে নড়াইল চৌরাস্তায় দিক নির্দেশনামূলক অ্যারো সাইনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নড়াইলের উন্নয়নমূলক কাজের শুভ সূচনা করেন মাশরাফি।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, নড়াইলের পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাসহর ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও মাশরাফি ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ আরও কয়েকটি সেবার উদ্বোধন করেন দেশ সেরা এই সফল অধিনায়ক মাশরাফি।
এবারের বিপিএল শুরুর আগে রংপুর রাইডার্স দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দলের মালিক পক্ষের কাছে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। মাশরাফির নেতৃত্বে রংপুর বিপিএল শিরোপা ঘরে তোলার পর তার চাওয়া পূরণ করা হয়।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলা শহরে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মাশরাফিকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও তরিকুল ইসলাম অনিককে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২১ ডিসেম্বর নড়াইল টাউন ক্লাবে যুব সমাজকে উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত করার ব্যাপারে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘ইয়ুথ ফর চেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন মাশরাফি।
এ অনুষ্ঠানে মাশরাফি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন,‘মা-বাবাকে সম্মান করো, নিজে আলোকিত মনের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো, দিন শেষে নিজেকে নিয়ে ৫ মিনিট ভাবতে হবে, আর বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করো। ভাগ্য বদলে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবে।’এতে ৩৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, নড়াইলে মাশরাফির ভক্তদের উদ্যোগে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নড়াইলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মাশরাফির নেতৃত্বে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা, উন্নত নাগরিক সুবিধা, বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও মানবিক শিক্ষার প্রচলন, বেকারত্ব দূর করার জন্য কর্মস্থান সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান, চিত্রা নদীকে ঘিরে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা, আইসিটি শহরে রূপান্তরিত করা।