বিশেষ প্রতিনিধিঃ দাম্পত্য জীবন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অনেক বড় ও বিশেষ একটি নেয়ামত। স্বামী-স্ত্রী সকলের কর্তব্য, এই নেয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন করা এবং একে অপরের সকল অধিকার আদায় করা। স্ত্রীর জন্য যেমন উচিত নয়, কথায় কথায় স্বামীর কাছে তালাক চাওয়া। তেমনই আবার স্বামীর জন্যও জায়েয নয় আল্লাহ তাআলার দেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করা।
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনর জেলার কারন্দা পাচু গ্রামে দুই নবদম্পত্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী কবুল বলার পড়ে ঠিক মত করে দুজন দুজনার মুখদর্শনও করেননি! তার আগেই ঘটে গেলো এক অনাকাংখিত ঘটনা। যা মোটেও কাম্য ছিলোনা কারই।
গতকাল মঙ্গলবার বন্ধনে জড়ানোর পর দুজনের বিচ্ছেদের ঘন্টাও বেজে গেল কিছু সময় পর। সন্ধ্যায় বিয়ে হতে না হতেই তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকালেই তালাক হয়ে গেলে ঐ দুই নবদম্পতির।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বর কারি ইমরানকে নিয়ে তার স্বজনরা প্রতিবেশী কারন্দা পাচু গ্রামে কনের বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। কনের পিতার অভিযোগ বরের ভাতিজা আকিব ও এক নারী তাদের বাড়ি থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার রুপি ও বেশ কিছু স্বর্ণের গহনা চুরি করেছে।
অপরদিকে বরপক্ষ এই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ অভিযোগকে অস্বীকার করেন এবং কনেপক্ষের স্বজনরা বাজে আচরণ করছেন এমনটা দাবি করে তারা ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়াতো দুরের কথা ঐসময় বাবাসহ বরের সঙ্গে আসা সবাইকে কনের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাদের উদ্ধার করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে বিয়ে করা স্ত্রীকে তালাক দিতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি বর ইমরান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ইমরান বলেছেন, কনেপক্ষের আচরণে তিনি অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ আমি তালাকের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে মেয়েটিকে তালাক দিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে।’
‘তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কেউ এই ক্ষমতার অপব্যবহার করলে কিংবা ভুল পন্থায় তা প্রয়োগ করলে সে একদিকে যেমন গুনাহগার হবে অন্যদিকে তালাকও কার্যকর হয়ে যাবে। তাই প্রতিটি বিবেচক স্বামীর দায়িত্ব হল, তালাকের শব্দ কিংবা এর সমার্থক কোনো শব্দ মুখে উচ্চারণ করা থেকে সতর্কতার সাথে বিরত থাকা।’