দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, তিন বছর আগে পক্ষত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া এক ব্যক্তি সম্প্রতি সীমান্তরেখা অতিক্রম করে দেশে ফিরে এসেছেন, ওই ব্যক্তির দেহেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ মিলেছে।
সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির সীমান্তবর্তী শহর কায়েসংয়ে লকডাউনও জারি করা হয়েছে।
কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলা উত্তর কোরিয়া এতদিন তাদের দেশে কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানালেও বিশেষজ্ঞরা এ দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন।
“কায়েসং শহরে সাংঘাতিক ঘটনা ঘটেছে; তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি, ১৯ জুলাই অবৈধভাবে সীমানারেখা অতিক্রম করে দেশে ফিরে এসেছেন, যিনি প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে,” বলেছে কেসিএনএ।
শনিবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের পলিটব্যুরো বৈঠকে কিম ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোচ্চ জরুরি ব্যবস্থা’ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে তারা।
পক্ষত্যাগী ব্যক্তি কী করে সুরক্ষিত সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের ‘ভয়াবহ শাস্তি দেয়া হবে’ বলে কিম হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার দাবির প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, সম্প্রতি কেউ অবৈধভাবে ডিমিলিটারাইজড সীমান্ত অতিক্রম করেছে, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
বিবিসি জানিয়েছে, ছয় মাস আগে যখন বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়ানো শুরু করেছিল তখনই উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল; আইসোলেশনে পাঠিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষকে।
চলতি মাসের শুরুতেও উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তার দেশের ‘উজ্জ্বল সাফল্যের’ প্রশংসা করেছিলেন।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম