নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১০ই মহররম ৬১ হিজরীর এই দিনে কারবালার তপ্ত মরুপ্রান্তরে নানার দ্বীনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (রা.) তার সঙ্গী-সাথীসহ তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
পবিত্র এ দিবসটি উপলক্ষে শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আহ্লে সুন্নাত্ আল জামাত, কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২১শে সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জিলিব আল-সুয়েখ অঞ্চলে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব লোকমান আলী ওসমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বক্করের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ”কুয়েতি নাগরিক” আল্লামা ডক্টর সাইয়েদ সাহীন আউস আল-রিফাই আল-হাসানী ওয়াল হুসাইনী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা ডক্টর ইব্রাহিম আল-আনসারী, মিনহাজুল কোরান ইন্টারন্যাশনাল কুয়েতের নাইবে আমীর আনোয়ার সাহেদ,আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলীমিন কুয়েতের সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন, কবি আব্দুল মালিক।
পবিত্র এ দিবসটির গুরুত্ব, তাৎপর্য ও বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা বিলাল হুসেন, মাওলানা জয়নাল আবেদিন,কবি আব্দুল মালিক,মাওলানা ইকবাল হুসেন, মাহবুবুল করিম,নুর বকস্সহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ১০ই মহররম গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় একটি দিন।
ফলে সারা বিশ্বের মুসলমান জাতিরা এদিনকে ইসলাম ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হিসেবে স্মরণ করে থাকেন।
আর এ দিনে ঘটেছিল কারবালার প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইমাম হোসেন (রা.) শাহাদাত বরণ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, এখনো ইয়াজিদ সীমাররা বেঁচে আছে, কারবালা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আজও কারবালার মতো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে।
কারবালার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজকের মুসলিম জাতি আগামীর পথ চললে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগ সফল ও সার্থক হবে বলে বক্তব্যে যোগ করেন ইসলামিক চিন্তাবিদরা।
পরে বিশ্ব মুসলিম উম্মার গুনা মাফ, শান্তি, কল্যাণ ঐক্য ও উন্নতি-অগ্রগতি কামনা করে বিশ্ব মানবতার জন্য দোয়া করা হয়।