আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারে তার ভাষণে একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি। তিনি আজ (মঙ্গলবার) মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দেওয়া ভাষণে পোপ বলেছেন, ধর্মীয় ভিন্নতাকে বিভেদ ও অবিশ্বাসের উৎস করা উচিত নয়। ঐক্য, ক্ষমাশীলতা ও সহনশীলতার প্রয়োজন।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বন্দ্ব ও বিরোধের মতো নানা শব্দ ব্যবহার করলেও পোপ একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেন নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
কিন্তু তিনি রোহিঙ্গা শব্দটিই উচ্চারণ না করায় মানবাধিকার কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। মিয়ানমারের ক্যাথলিক চার্চ তাকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন আরও বলেছেন, “মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও বিরোধ চলছে। মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তি ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যায়।” চারদিনের সফরে গতকাল মিয়ানমারে পৌঁছান পোপ। মিয়ানমারে প্রায় সাত লাখ খ্রিস্টানের বসবাস।
নেপিদোতে ভাষণ দেওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি অতীতে রাখাইনের অধিবাসীদেরকে ‘রোহিঙ্গা ভাইবোন’ বলে অভিহিত করলেও মিয়ানমারে গিয়ে তাদের নামটি উচ্চারণ না করায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা শব্দের পরিবর্তে বাঙালি শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায় রোহিঙ্গারা রাখাইনের নয়, তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। (পার্সটুডে)