অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি-সোনালি বলের ট্রফি পুনরুদ্ধার করলেন পর্তুগালের মহানায়ক রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর মধ্যদিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্যালন ডি’অর হাতে উঠলো সিআর সেভেন খ্যাত রোনালদোর।
এবারের ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফিটা জিততে রোনালদো পেছনে ফেলেন এই পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনায় খেলা আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি আর ফ্রান্সের বর্তমান সেরা তারকা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানকে।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত জমকালো ২০১৬ ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে এই পুরস্কারের মালিক হিসেবে রোনালদোর নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ফিফার সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এবার ছিল না ফিফা-ব্যালন ডি’অর। তাই পুনরায় ব্যালন ডি’অর দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ফিরে যায় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’। তবে, বর্ষসেরা ফুটবলার পুরস্কার ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’র পরিকল্পনা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানায়নি ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হয়। প্রাথমিক তালিকাটা হয় ২৩ জনের পরিবর্তে ৩০ জনের। এখান থেকেই চূড়ান্ত বিজয়ী বেছে নেওয়া হয়। বাদ দেওয়া হয় তিনজনের ‘ফাইনালিস্ট’ বা চূড়ান্ত তালিকার নিয়ম।
আগের মতোই সেরা খেলোয়াড় বাছাই করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের একটি দল। ফিফা সদস্য দেশগুলোর জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচের ভোট দেওয়ার ব্যাপারটি এবার ছিল না। এর আগে জানুয়ারির শুরুর দিকে ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হতো। তা বদলে বছর শেষের আগেই ব্যালন ডি’অর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ফুটবলবোদ্ধারের চোখে এগিয়ে থাকা রোনালদোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মেসির সঙ্গে ছিলেন ইউরোর গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জয়ী অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান।
২০০৮ সালে রোনালদো নিজের প্রথম ব্যালন ডি’অর জেতার পর ২০০৯ থেকে শুরু করে টানা চারবার জেতেন মেসি। চার বছর পর ২০১৩ সালে মেসিকে টপকে আবারো এই পুরস্কার নিজের ঘরে নেন রোনালদো। পরের বছরও ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটা রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গারের দখলেই ছিল। তবে, গত বছর মেসি সেই মুকুট পুনরুদ্ধার করেন। এবার, সোনালি ট্রফিটি হাত বদল হয়ে আবারো চলে গেল রোনালদোর কাছে।