খেলধুলা ডেস্ক: লোকেশ রাহুলের অপরাজিত ৮৪ রানের ওপর ভর করে ৮ বল হাতে রেখে রাজস্থানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে পাঞ্জাব। ১৫৩ রানের লক্ষ্যটা এক সময় সহজ হবে না বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু রাহুলের দুর্দান্ত ইনিংসই ম্যাচের নাটাই একেবারেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে পাঞ্জাবের। তাই ১৮.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রাহুলের সঙ্গে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন মারকাস স্টোইনিস। ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনিও।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাঞ্জাবের সংগ্রহ মাত্র ১৯। গেইল তো আজ তাঁর মারকুটে ব্যাটিং দেখানোরই সুযোগ পেলেন না। জোফরা আর্চারের বলে ব্যক্তিগত ৮ রানেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। ওয়ান ডাউনে আসা মায়াঙ্ক আগরওয়ালও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ৪.৪ ওভারে দলীয় ২৯ ও ব্যক্তিগত ২ রানের সময় বেন স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ফিরে যাওয়া। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে পাঞ্জাবের রান দাঁড়াই ৩৩। প্রীতি জিনতার দলের জন্য কিছুটা বিপদই বলা যায়। সেখান থেকে ম্যাচ ঘুড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন ওপেনার লোকেশ রাহুল ও করুন নায়ার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা গড়ে ৫০ রানের জুটি। ১১ তম ওভারে দলীয় ৭৯ রানে অনুরিত সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে নায়ার করেছেন ৩১ রান।
আক্সার প্যাটেল এসে রাহুলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়। মাত্র ৪ রান করে গৌতমের বলে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। শেষ ৫ ওভারে প্রীতির মুখে হাসি ফোটাতে ৬ উইকেটে প্রয়োজন ৫১। উইকেটে মারকাস স্টোইনিসের সঙ্গে আছেন থিতু হয়ে ওঠা রাহুল। ম্যাচের গতি তখনো পেন্ডুলামের মতো দুলছে। কিন্তু উইকেট কিপার রাহুল হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পণ করেই নেমেছিলেন।
১৭ তম ওভারে আর্চারের বলে ১৬ রান তুললে শেষ শেষ ৩ ওভারে রানের প্রয়োজন দাঁড়াই ২৭। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৮ বলের কি প্রয়োজন? ১০ বলেই রান তুলে নিল ৩০। জয়দেব উনাদকাতের ১৮ তম ওভারে রান এসেছে ১৫। বাকিটা আর্চারের ১৯ তম ওভারের ৪ বলেই সম্ভব হয়েছে মূলত রাহুলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে।
রাহুলের আলোতে ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের বোলার মুজিব উর রহমান। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব যখন ৪ কোটি রুপিতে আফগানিস্তানের মুজিবকে কিনল। সবারই প্রশ্ন, কে এই মুজিব? উত্তরটা পেতে বেশি সময় লাগেনি। আইপিএল এ অভিষেক ম্যাচ থেকেই মাতিয়ে যাচ্ছেন আফগান এই অফ স্পিনার। আজ তো তিনিই ১০০ থেকে ১০৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেটে ফেলে দিয়ে রাজস্থানকে আর বড় স্কোর আর গড়তে দেননি। তাও আবার তাঁর শিকার বেন স্টোকস, জস বাটলার ও জোফরা আর্চার। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনিই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান রয়্যালস। ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন জস বাটলার। ২৮ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন এবং স্রেয়াশ গোপাল করেন ১৬ বলে ২৪ রান।