অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সল বিন নাঈম দ্বীপ।
এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিকের যাবজ্জীবন, এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারকে হত্যা করা হয়, যিনি থাবা বাবা নামে ইন্টারনেটে ব্লগ লিখতেন।
প্রায় তিন বছর পর আজ সেই হত্যাকাণ্ডের রায় দিল । বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাঁচজন ব্লগার হত্যার শিকার হয়েছেন এবং এই প্রথম একজন ব্লগার হত্যার রায় হল আজ।
এই ঘটনার আটজন আসামীর মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন। পলাতকের নাম মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আজাদ রানা। এছাড়া জসিমউদ্দিন রাহমানী নামে একজন আটক রয়েছেন যিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে পুলিশ বলছে।
ব্লগার রাজীব হত্যার ঘটনার ১১ মাস পর গোয়েন্দা পুলিশ চার্জশিট জমা দেয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ে জামায়াতের শীর্ষপর্যায়ের একজন নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ২০১৩সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি।
এই রায় ঘোষণার পর পরই সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে সেই আন্দোলন ব্লগারদের একটা অংশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আর এই আন্দোলন শুরুর কয়েকদিন পরই ১৫ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার পল্লবী এলাকায় ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। তখন এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে শাহবাগের আন্দোলন জোড়ালো হয়েছিল।
ব্লগার রাজীবের পুরো নাম আহমেদ রাজীব হায়দার। তিনি পেশায় স্থপতি ছিলেন। তিনি ব্লগ লিখতেন থাবাবাবা নামে। সে সময় ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য লেখার অভিযোগে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনও ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল।