ড. ফারাহানা মোবিনঃ লালচে গোলাপি লালশাক। হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ এই শাক। আমাদের দেশের অতি পরিচিত শাকগুলোর মধ্যে লালশাক তৈরি করে সবচেয়ে বেশি রক্ত। খাবার চিবাতে পারে এমন শিশুদের জন্য লালশাক ভীষণ উপকারী। কারণ, শিশুদের আয়রন, আয়োডিন দরকার হয় প্রচুর পরিমাণে। আর লালশাক আয়রনের উৎকৃষ্ট উৎস। আস্তে আস্তে শিশুর পেটের ও হজমশক্তির অবস্থা বুঝে পরিমাণ বাড়াতে পারেন। বাড়ন্ত শিশু, পূর্ণ বয়স্কদের জন্যও বয়ে আনে সুফল। অ্যানিমিয়া, অর্থাৎ রক্তশূন্যতা, নিম্ন রক্তচাপ মানে লো ব্লাড প্রেশার, দুর্বলতা, ক্রমশ শক্তি কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস রোগী, অস্টিও আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় লালশাক পালন করে অপরিহার্য ভূমিকা।
গর্ভবতী অবস্থা থেকে শিশুর জন্ম ও মাতৃদুগ্ধ পান পর্যন্ত লালশাক ভীষণ জরুরি। তবে এখানেও খেয়াল রাখুন, গর্ভবতী বেশির ভাগ মায়ের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। তাই দুপুরে শাক খাওয়াই ভালো। কারণ, ইনটেসটাইন, অর্থাৎ খাবার হজমকারী জরুরি নালিবিশিষ্ট অঙ্গ অধিক রাতে কাজ করে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সচল থাকে বেশি। আর রাতে শাক পরিহার করাই ভালো।
মেনোপোজ, মানে মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া। মেনোপোজ হওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে আসে। ত্বক ও চুলে আসে বৈরী ভাব। ভঙ্গুর হতে থাকে নখ। শরীরে দেখা যায় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। লালশাক এ অবস্থায় হতে পারে উপকারী বন্ধু। দেহে রক্ত বাড়াবে আর ত্বক, চুল ও নখের পুষ্টি জোগাবে। পুষ্টিমূল্য বিচারে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য লালশাক উপকারী।