(এম,এ,মালিক)
চির সবুজের ধরণী-তলে,
ফুটলো রক্তে ভেজা ফুল।
সৌরভ ছড়িয়ে পড়লো
গন্ধে সব আকুল।
ঘুণে ধরা বাঁশীতে আজ
বাজলো নবীন সূর,
ছড়িয়ে পড়া সৌরভে তার
গন্ধে সব আকুল।।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।।
সে ফুল কলি-রূপে থাকতে
এল বিষ-ভ্রমরের দল।
লণ্ডভণ্ড করে দিলো
ফুলের শতদল।
ক্ষতের মোহর এঁকে দিয়ে
ফুটালো বিষের হুল।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।।
রক্ষা কল্পে ছুটে এলো
রক্ষী ভ্রমর দল,
রুখল আঘাত বীর-বিক্রমে
ভাঙ্গলো শত্রুর বল।
ফুলটি রক্ষা করলো বটে
শত্রু না হইল নির্মুল।।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।।
জখমী পাপড়ি মেলে আবার
ফুটলো ঝরা ফুল,
পত্র-পল্লব দিয়ে বৃক্ষ
ধরায় পাতে মূল।
শুষ্ক মরু সিক্ত হলো
পেয়ে রহমতেরই ঢল।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।।
সুযোগ পেলে শত্রু-ভ্রমর
আজও আসে ছুটে,
বিষের হুল ফুটাতে তারা
দের করেনা মোটে।
তবে ফুল-প্রেমিকরা উঠছে জেগে
ভাঙ্গছে তাদের ভূল।।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।।
আব্দুল মালিক হাসমত বলে
শুন বন্ধুগণ –
নির্মুল করে দিতে হবে
শত্রুদলের ভ্রুণ।
বাংলাদেশ সেই ফুলেরই নাম
সব ঠিকানার মূল।।
নবরূপে ফুটলো ধরায়
রক্তে ভেজা ফুল।
ছড়িয়ে পড়া সৌরভে তার
গন্ধে সব আকুল ।।