আ,হ জুবেদঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় বর্তমান বয়জিষ্ট, বরণ্য ও অনেক গুণে গুণাম্বিত আওয়ামী রাজনীতিবিদদের মধ্যে অনেক’ই এখন আর বেঁচে নেই।
তবে যারা জীবিত আছেন তন্মধ্যে অন্যতম বয়জিষ্ট, বরণ্য ও বহু গুণের অধিকারী একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির সঙ্গে এবার সাক্ষাৎ হলো, কথা হলো বহু ক্ষণ,তখন তিনি জানালেন অতীতের অনেক কথা, স্মৃতিচারণ করলেন প্রায় ৬০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনীতির বিশাল সফলতার কথা।
‘ভদ্রতা আত্মীয়তার চেয়ে কিছুটা কম এবং সামাজিকতার চেয়ে কিছুটা বেশি।’
আত্মীয়তা আন্তরিক, সামাজিকতা আনুষ্ঠানিক; কিন্তু ভদ্রতা বা শিষ্টাচার হলো উভয়ের মধ্যে সেতুস্বরূপ এবং উভচর। সফলতা অর্জনের জন্য অনেক গুণাবলির মধ্যে শিষ্টাচার বা সৌজন্যবোধ হলো একটা গুণ। পৃথিবীতে আজ যারা স্বীয় কর্ম বলে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন বা তাদের কর্মধারায় মনুষ্য মহাকল্যাণ সাধন করে গেছেন। তারা সবাই শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের গুণে গুণাম্বিত ছিলেন। শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ লাভের প্রধান উপায় হলো স্বীয় সাধনা এবং তার মার্জিততম প্রকাশ।
এবার দেখা হলো তেমন’ই একজন সৌজন্যবোধের গুণে গুণাম্বিত ব্যক্তির সাথে। এবছরের শুরুর দিকে প্রায় মাস খানেক আগে বাংলাদেশে অবকাশকালীন ছুটিতে গেলে সাক্ষাৎ হয় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একসময়কার স্বনামধন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রবীণ একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে, যিনি জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন সাধারণ মানুষের জন্য, সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে সমাজের উন্নতি সাধনের জন্য তথা রাজনীতির মাধ্যমে সুষ্টু সমাজ ব্যবস্থা ও গোটা মৌলভীবাজার জেলাকে একটি সুন্দর এবং উন্নত জেলা হিসেবে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
হ্যাঁ, বলছিলাম জনাব আব্দুল ওয়াহিদ বি,এস,সি,একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা। এই বিশাল মনের মানুষটির সঙ্গে সল্প ক্ষণে অনেক আলাপ হলো, তিনি অনেক তথ্য, প্রমাণ দেখিয়ে জানালেন অতীত জীবনের সফল পথচলা ও বহু দুর্লভ অর্জনের কথা।
নির্লুভ, নিরহংকার আচরণ ও সহজ সাবলীল ব্যবহারে তিনি বুঝিয়ে দেন তাঁর মহত্ব। একসময় উনার সহধর্মিণীও এসে আমাদের সাথে আলাপচারিতায় যোগ দেন।
জনাব আব্দুল ওয়াহিদ বি,এস,সির সহধর্মিণীর নাম হুসনেওয়ারা ওয়াহিদ, তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে একজন সাবেক মহিলা এমপি।
আব্দুল ওয়াহিদ বি,এস,সি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের মনুমুখ পিটি হাইস্কুলে ১৯৬৮ সনে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৭৩সনে।
ইউপি আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করেন ৭৬ সনে।
তিন৩ বারের নির্বাচিত ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে ৮৩.৮৬.৯২ সনে।
৭২সনের পরে (মহকুমা) থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রায় কুড়ি বছর।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ৯২ সন থেকে ৯৮ সন পর্যন্ত।
জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অদ্যাবধি।