ডেস্ক নিউজ: ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল বিয়ে করেছিলেন- এমন প্রমাণ পেলে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের মুকুট বাতিল করা হতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী।
স্বপন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিয়ের প্রমাণ পেলে মিস ওয়ার্ল্ডে অংশ নেওয়ার যে ক্রাইটেরিয়া রয়েছে সেই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো, প্রতিযোগীকে অবিবাহিত হতে হবে।
ইতোমধ্যে জান্নাতুল নাঈমের বিবাহের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে গণমাধ্যমে। এমনকী গণমাধ্যমের হাতে তার বিয়ের কাবিন নামা এসেছে। এখন আয়োজকেরা যদি এসবের সত্যতা খুঁজে পান তবে তাহলে তার মুকুট বাতিল হয়তে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আসবে নতুন বিজয়ীর নাম।
আগামীকাল (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিস্তারিত তুলে ধরবেন আয়োজকরা।
স্বপন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি তো রাস্তায় ব্যবসায়িক কাজে দৌঁড়াদৌঁড়ি করছি। আমি জান্নাতুল নাঈমের বিয়ের খবর শুনেছি, আমি এটা দেখবো।
যাচাই করে দেখার পর যদি প্রমাণ হয় সে বিবাহিত তাহলে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ অংশ গ্রহণের যে ক্রাইটেরিয়া রয়েছে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো। নিয়মে যা আছে তাই হবে। এক্ষেত্রে নিয়মে বাদ পড়ার কথা উল্লেখ থাকলে জান্নাতুল নাঈম বাদ পড়তে পারেও বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই তার বিয়ে হয়। আড়াই মাস সংসার করার পর এভ্রিল ডিভোর্স দেন স্বামীকে। জান্নাতুল নাঈমের বাবা তাহের মিয়া ও মা রেজিয়া বেগম। জান্নাতুল নাঈমের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৫ নম্বর বরমা ইউনিয়নের সেরন্দি গ্রামের রাউলিবাগ এলাকায়। বাবা একজন কৃষক। বিয়ের ঘটনা নিয়ে জান্নাতুল নাঈমের সাথে বাবার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এভ্রিলের সঙ্গে ২০১৩ সালের ২১ মার্চ চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের বিয়ে হয়। ৮ লাখ টাকা দেনমোহর ছিল বিয়েতে। বিয়ের উকিল হন মেয়ের বাবা তাহের মিয়া। বিয়েতে কাজি ছিলেন আবু তালেব। একই বছরের ১১ জুন তালাকনামায় সই করেন জান্নাতুল। চন্দনাইশ পৌরসভার কাজি অফিস থেকে প্রাপ্ত কাবিননামা অনুযায়ী এসব তথ্য জানা গেছে।