মিলান থেকে তুহিন মাহমুদ: বাংলাদেশের তিনজন কৃতি সন্তান মিলানের বিকোক্কা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন মিলান “বাসাই”।
গত ১৭ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যাক্ষণে অনারম্বড় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান।
মিলানের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষানুরাগি কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা স্টুডেন্টস ক্রেস্ট তুলে দেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এ্যান্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের সহকারী প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ জামাল উদ্দিন ও এর সহধর্মিনী ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা এবং ড. মেহেরুন নেছা লাকি কে।
ইতালির তিলোত্তমা নগরী মিলানের স্হানীয় একটি রেস্তরার মিলনায়তনে ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সবাই স্বত:স্ফূর্ত ভাবে মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা অনুভূতি গুলো প্রকাশ করেন এক এক করে।
ড: মেহেরুন নেছা লাকি অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, অনেক ছাত্র/ছাত্রী ইতালিতে পড়তে এসে প্রাথমিক অবস্হায় সঠিক গাইডনেসের অভাবে খুব সহজে জীবনের সাফল্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে!তাদের জন্য বাংলাদেশ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন সংগঠন কার্যকর বাস্তবমুখী ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইদানিং ইতালি ছেড়ে অনেক পরিবার যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে তার একমাত্র কারন ছেলে/মেয়েদের ভবিষ্যত চিন্তা করে। যাতে ছেলে/মেয়েরা ইংরেজী ভাষায় পড়তে পারে।
ড. মেহেরুন নেছা বলেন, ইতালিতেও ভালো লেখা পড়া হয়। এখানেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যদিও দেশের তুলনায় ইংরেজি ভাষাটার ওপর গুরুত্ব একটু কম এখানে। এখানে শ্রীলংকানরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল খুলেছে, এটা একটা ভালো দিক কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশীরা এই উদ্যোগ এখনও গ্রহন করেননি। তবে সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজের সন্তান-সন্তদির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে সকলে মিলে যদি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল চাকু করা যায় তাহলে এখানেও ছেলে/মেয়েদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া অসম্ভব নয়। এর জন্য সকলকে একযোগে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ড: মেহেরুন নেছা ভবিষ্যতে উচ্চতর এই শিক্ষা দেশের কাজে লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন তিনি ও দেশের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করবেন। তিনি বর্তমানে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে নিয়োজিত আছেন। তার সহধর্মিনি ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা তিনি ও একই সাথে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। জীবনে অনেক স্যাকরিফাইস করে আজকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন। সংসার ও পড়াশোনা সমান ভাবে চালিয়েছেন। তিনিও দেশের কল্যাণে তার এই অর্জন কাজে লাগাবেন।
অত্যান্ত চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আলমকে উপস্হিত সকলে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অত্যান্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে কথা গুলো উপস্হাপন করেছেন।
সবশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই