বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, দেশের র্শীষ আলেম ,বাংলায় সীরাত সাহিত্যের জনক, ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি, তাফসীরে মাআরিফুল কোরআনসহ অসংখ্য গ্রন্থরে অনুবাদক, রাবেতা আলম আল ইসলামীর সদস্য, মাসিক মদীনা সম্পাদক ফখরে মিল্লাত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়লি রাজিঊন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মরহুমের ছেলে আহমদ বদরুদ্দীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আব্বা কিছুক্ষণ আগে মহান আল্লাহ্ তাআলার ডাকে সাড়া তাঁরই দরবারে চিরতরে চলে গেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দীন দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে গত বুধবার তাকে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে জ্ঞান ফেরার কিছুক্ষণ পর তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। উপমহাদেশের বিশিষ্ট এই আলেমে দ্বীনের মৃত্যুতে আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাওলানা মহিউদ্দীন খান বাংলাদেশের আলেম সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তাফসিরে মাআরিফুল কুরআনের অনুবাদ ছিল তার কর্মজীবনের অনন্য অবদান। তিনি বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ অবদান রাখেন।
প্রথমে তিনি মাওলানা আতহার আলী রহ. প্রতিষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় দায়িত্বে সমাসীন ছিলেন। পরবর্তীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্রের জোরদার আন্দোলন চালিয়ে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫/২৬ ডিসেম্বর ঢাকার পটুয়াটুলী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় জমিয়তের কাউন্সিলে তিনি জমিয়তের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের ২৮ মার্চ জমিয়তের সহ-সভাপতি এবং ২০০৩ সালের ১লা জুন নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হন।