ঢাকা: জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বনমন্ত্রীর স্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে সাবেক মন্ত্রীর এম মোর্শেদ খানের পূত্রবধূ শ্যামা সেহজিন খানকেও আত্মসর্মপণ করতে হবে।
এছাড়া সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের স্ত্রী শাহিদা কামাল, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা, বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শামীম ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম, আমিনুল হক হেলাল প্রমুখ।
আহসানুল করীম জানান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগে এসব মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব মামলার মূল আসামিরা হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। তাদের স্ত্রীরাও মামলার আসামি ছিলেন। তাই স্ত্রীদেরও খালাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এছাড়া বাকি আসামিদের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মোর্শেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খানের মামলার কার্যক্রমও বিচারিক আদালতে চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারিক আদালতে এ মামলা নিষ্পত্তির পর উচ্চ আদালতে মোর্শেদ খান এবং তার স্ত্রীর মামলা একইসঙ্গে শুনানির কথা বলেছেন আপিল বিভাগ।
আদেশের বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, এখানে যেসব মামলার প্রধান আসামিরা খালাস পেয়েছেন তাদের স্ত্রীদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। তবে যাদের মামলায় এখনো নিষ্পত্তি হয়নি সেই সব মামলার আসামিদের মামলা ছয়মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।