ডেস্ক নিউজ : টানা তিনদিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পরই অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সোমবার তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের’ ব্যানারে শনিবার সকাল থেকে তারা এ অনশন শুরু করেন।
আন্দোলনকারী এক নেতার ভাষ্যমতে, সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর কয়েকজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন নির্ধারণের এক দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের সব সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট এ কর্মসূচির আহ্বান জানায়।
অনড় শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। এমনকি আগামী পহেলা জানুয়ারিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানেও তারা যোগ দেবেন না।
মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষক এসেছেন অনশন কর্মসূচিতে। মানুষ গড়ার এই কারিগররা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাটি, পত্রিকা, পলিথিন বিছিয়ে পৌষের শীতের দুই রাত পার করেছেন।
শিক্ষক নেতারা জানান, অনশনে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকরা শুধু শনিবার শহীদ মিনারে অবস্থানের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন। শহীদ মিনার ছাড়ার জন্য রবিবার শিক্ষকদের অনুরোধও জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অনড় শিক্ষকরা তাতে রাজি হননি। তবে সোমবার অনশনস্থলে মাইক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।