এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর জেলার মনোহরদী উপজেলাতে কিরণ মালা দেখতে গিয়ে এগারো বছরের এক কিশোরী ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।ধর্ষিতা স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনায় জড়িত থাকায় একই গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে সজিব মিয়াকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত নয়টায় উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত নয়টায় প্রতিবেশী এক চাচার বাড়ীতে টেলিভিশনে ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিরণ মালা’ দেখে বাড়ী ফিরছিল কিশোরীটি। দুই বাড়ীর মাঝে ফাঁকা জায়গায় আসা মাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা, লেবুতলা গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া ও মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে হাবিবুল্লাহ কাপড় দিয়ে কিশোরীর মুখ বেঁধে ফেলে।
পরে হাত-পা বেঁধে পার্শ্ববর্তী নির্জন কলা বাগানে নিয়ে দুজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ীতে এসে বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বলে।
ঘটনা শুনে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ঘটনা সম্পর্কে মনোহরদী থানায় সংবাদ দিলে এসআই আব্দুল কাদির শাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতেই সজিব মিয়াকে তার বাড়ী থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, ধর্ষিতার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে দুর্বল হয়ে পড়ে।
(শনিবার) সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মনোহরদী থানার ওসি এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে সজিব মিয়া নামের এক ধর্ষককে প্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর ধর্ষক হাবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই