“সর্বোচ্চ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীকেও তারা সরাতে পারছে না। তাদের সরিয়ে দিলে কী প্রতিক্রিয়া হয়, এই দুর্বলতায় তারা এখন ভয়ে আছে।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্যে আদালত অবমাননা করায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জরিমানা করে। সম্প্রতি তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত দুই মন্ত্রী তাদের ‘সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন’।
এরপর বিভিন্ন মহল থেকে এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠলেও তাতে তাদের কোনো সাড়া নেই।
দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখা না যাওয়ায় একে তাদের দুর্বলতা বলছেন খন্দকার মোশাররফ।
“তাদের অবস্থা নড়বড়ে। আমি বলব, এখন শুধু দরকার একটু ধাক্কা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এই ধাক্কা দিতে হবে। এজন্য সকলকে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নবম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সারা দেশটাকে সরকার বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। মিথ্যা মামলায় হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে সাজা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে তারা। উদ্দেশ্য একটাই- বিএনপিকে নির্মূল করা।”
সরকার বর্তমানে ‘বাঘের ওপর সোয়ার’ হয়ে বসে আছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা মোশাররফ।
তিনি বলেন, “বাঘ একটু নাড়াচড়া দিলেই এই সরকারও পড়ে যাবে। বাঘের সামনে পড়বে আওয়ামী লীগের লোকেরা, তারা কেউ রক্ষা পাবে না।
“জনরোষ এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, এই সরকার আজ জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। একদিন এমন সময় আসবে, তখন তারা আর পালাবার পথ পাবে না।”
দেশে ‘অলিখিত বাকশাল’ শাসন চলছে অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকারের মতো আওয়ামী লীগ সরকারও বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তারা তারেক রহমানকে টার্গেট করেছে, তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, নেছার উদ্দিন, সারোয়ার হোসেন, আনু মো. শামীম, ইয়াসীন আলী, লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না, রফিক হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।