সোমবার মধ্যরাতে যখন তাদের একটি নৌকা থেকে আরেকটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছিল তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে মৃতের সংখ্যাটি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি সেই অঞ্চলের কোস্ট গার্ড।
জীবিতদের গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কালামাতা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তাঁরা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের।
তাঁরা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালির দিকে যাচ্ছিলেন। এ বছরই লিবিয়া থেকে ইটালি যাবার এই ভয়ঙ্কর সমুদ্রপথ বেছে নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরো অনেক অভিবাসী।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও মিশরের অভিবাসী।
তারা বিবিসি-কে জানিয়েছে যে, ইটালি যাবার জন্যে অন্তত ২৪০ জন মিলে লিবিয়ার বন্দর শহর তবরুক থেকে যাত্রা শুরু করে।
ভূমধ্যসাগরে এসে তাদের আরেকটি বড় নৌযানে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়। যেখানে আগে থেকেই প্রায় ৩০০ যাত্রী বোঝাই ছিল। আর সেসময়ে দূর্ঘটনা ঘটে।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে।
গত বছরের এপ্রিলে এই ভূমধ্যসাগরেই নৌযান ডুবিতে প্রায় ৮০০ অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী ঝুঁকি পূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছে।
এর মধ্যে অন্তত ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।