বুধবার দশম শ্রেণির গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়েও একই অভিযোগ ওঠার পর সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) পরীক্ষা দুটি বাতিল ঘোষণা করে বলে জানায় আনন্দবাজার, এনডিটিভি।
‘নিরপেক্ষতা ও পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে’ পরীক্ষা দুটি নতুন করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিএসই-র ওয়েবসাইটে নতুন পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছে, কেবল এ দুটি নয়, পরীক্ষার আগে আগে আরও অনেক বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। যে কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সব পরীক্ষাই নতুন করে নেওয়ার দাবি তুলেছে তারা। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে বিশাল সমাবেশও করেছে।
ফাঁসের ঘটনা অনুসন্ধানে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার বিশেষ একটি তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশ অন্তত ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি; যাদের বেশিরভাগই হাতে লেখা প্রশ্নপত্র পাওয়া শিক্ষার্থী।
ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা ‘কার্যত স্বীকার’ করে নিয়ে বলেছেন, সম্ভবত ‘২-৩টি বিষয়ের প্রশ্ন’ পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে পরীক্ষাগুলোর আগের দিন সন্ধ্যায়। কোথা থেকে এগুলো ফাঁস হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
“হাতে লেখা প্রশ্নপত্র হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে সরবরাহের বেশ কিছু ছবি ও অভিযোগ পেয়েছি আমরা। এসব মেসেজের উৎস বের করার চেষ্টা করছি। হোয়াটস অ্যাপের ম্যাসেজগুলো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড হওয়ায় উৎসের খোঁজ পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে,” বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই বলেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
ফাঁসের উৎস খুঁজে পাওয়ার পর বোর্ড ও পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মার্চের ১৫ তারিখ দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাকাউন্টিং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও সিবিএসই তা উড়িয়ে দিয়েছিল।
আনন্দবাজার বলছে, মাধ্যমিক বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ক্ষুব্ধ। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী জাভাদেকরকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
“সিবিএসই-র এ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা অমর্যাদাকর; এর স্বচ্ছতা জরুরি। এখানে কর্মকর্তারাই অপরাধী, অথচ শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের,” টুইটারে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।