Menu |||

ভবন ভাঙ্গতে তিনবছর সময় চাইছে বিজিএমইএ

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, তাদের যে অফিস ভবনটি আদালত ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে, সেটি ভাঙ্গার জন্য আদালতের কাছে তারা আরও তিন বছর সময় চাইছে। এজন্য একটি পিটিশনএর মধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।

আজ এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় একটি জলাশয়ের মধ্যে যথাযথ অনুমতি ছাড়াই ১৬ তলা এই ভবনটি নির্মাণ করেছিল বিজিএমইএ। ভবনটির মোট আয়তন ২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গফুট। এখানে বিজিএমইএর অফিস, সভাকক্ষ ছাড়াও সদস্যদের জন্য অ্যাপারেল ক্লাব রয়েছে। অন্যান্য ফ্লোরে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।

আদালতে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর বিজিএমইএকে আজকের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে, কখন তারা ঢাকার বিজিএমইএ ভবন থেকে তাদের অফিস সরিয়ে নেবে।

বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিবিসিকে বলছেন, ”আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা মেনে নিয়েছি। আদালত জানতে চাইছেন, এখান থেকে সরে যেতে আমাদের কতদিন লাগবে। সেখানে আমরা তিনবছর সময় চেয়ে পিটিশন করেছি। আমরা এখানে কিছু জরুরি কাজ করি। এজন্য আমাদের কিছু সময়ের প্রয়োজন। এখন মহামান্য আদালত যেটা বলবেন, আমরা সেটাই করবো।”

কিন্তু দপ্তর সরাতে কেন এতদিন সময় লাগবে? জিজ্ঞেস করা হলে মি. রহমান বলছেন, ”এটা সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়ার মতো বিষয় না। আমাদের আরেকটা স্থায়ী ভবন তৈরি করে সেখানে স্থায়ীভাবে সরে যেতে হবে। সেজন্যই এই সময় দরকার। আমাদের অফিসটা একেবারে ছোট না, তিনশোর মতো কর্মী আছে। এখানে আমরা ইউডি, ইউপি ও সিও ইস্যু করি। সবসময়েই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়।”

কিন্তু এত লম্বা সময় চাওয়া পুরো বিষয়টি দীর্ঘায়িত করার মতো একটি ব্যাপার হিসাবে অনেকে দেখতে পারেন। কিন্তু বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন, তাদের এ রকম কোন উদ্দেশ্য নেই। আদালতের রায় তারা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যেই তারা জমি দেখেছেন। কিন্তু সেখানে স্থায়ীভাবে চলে যেতে তাদের সময় দরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান

তবে ভবন ভাঙ্গার খরচ দিতে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, সে বিষয়টি তারা কি করবেন? জানতে চাওয়া হলে মি. রহমান বলেন, ”এটা যেহেতু একটি সমিতি, আমাদের বসতে হবে, আলাপ করতে হবে। তারপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আদালতের সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”

বিজিএমইএ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন। কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়া একটি জলাশয়ের মধ্যে ভবন তৈরি করে এখন যে সরে যেতে হচ্ছে। এটা কি একটি ভুল ছিল বলে তারা মনে করেন?

বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন, ”না, আমি কোনভাবেই বলবো না যে আমরা ভুল করেছি। আমরা পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে আমরা জমি বরাদ্দ নিয়েছিলাম। তার উপরেই ভবন নির্মাণ করেছি। আমাদের সব কাগজপত্র আছে। তবে আদালতের বিষয় হওয়ায় এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।”

২০১১ সালের ৩রা এপ্রিল জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল খারিজ হয়ে যায়। রিভিউ আবেদনও ৫ই মার্চ খারিজ হয়ে যায়।

সূত্র, বিবিসি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী

» কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে

» সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে

» ফারুকীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়

» পাকিস্তান থেকে সেই আলোচিত জাহাজে যা যা এল

» মিছিল করায় আট মাস ধরে সৌদি কারাগারে ৯৩ প্রবাসী, দুশ্চিন্তায় পরিবার

» কুয়েতে যুবলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

» ক্ষমা না চাইলে নুরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়

» বাকু থেকে ফিরলেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূস

» শুক্রবার আহত ও শহীদদের স্মরণে কর্মসূচি দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

ভবন ভাঙ্গতে তিনবছর সময় চাইছে বিজিএমইএ

পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, তাদের যে অফিস ভবনটি আদালত ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে, সেটি ভাঙ্গার জন্য আদালতের কাছে তারা আরও তিন বছর সময় চাইছে। এজন্য একটি পিটিশনএর মধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।

আজ এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় একটি জলাশয়ের মধ্যে যথাযথ অনুমতি ছাড়াই ১৬ তলা এই ভবনটি নির্মাণ করেছিল বিজিএমইএ। ভবনটির মোট আয়তন ২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গফুট। এখানে বিজিএমইএর অফিস, সভাকক্ষ ছাড়াও সদস্যদের জন্য অ্যাপারেল ক্লাব রয়েছে। অন্যান্য ফ্লোরে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।

আদালতে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর বিজিএমইএকে আজকের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে, কখন তারা ঢাকার বিজিএমইএ ভবন থেকে তাদের অফিস সরিয়ে নেবে।

বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিবিসিকে বলছেন, ”আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা মেনে নিয়েছি। আদালত জানতে চাইছেন, এখান থেকে সরে যেতে আমাদের কতদিন লাগবে। সেখানে আমরা তিনবছর সময় চেয়ে পিটিশন করেছি। আমরা এখানে কিছু জরুরি কাজ করি। এজন্য আমাদের কিছু সময়ের প্রয়োজন। এখন মহামান্য আদালত যেটা বলবেন, আমরা সেটাই করবো।”

কিন্তু দপ্তর সরাতে কেন এতদিন সময় লাগবে? জিজ্ঞেস করা হলে মি. রহমান বলছেন, ”এটা সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়ার মতো বিষয় না। আমাদের আরেকটা স্থায়ী ভবন তৈরি করে সেখানে স্থায়ীভাবে সরে যেতে হবে। সেজন্যই এই সময় দরকার। আমাদের অফিসটা একেবারে ছোট না, তিনশোর মতো কর্মী আছে। এখানে আমরা ইউডি, ইউপি ও সিও ইস্যু করি। সবসময়েই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়।”

কিন্তু এত লম্বা সময় চাওয়া পুরো বিষয়টি দীর্ঘায়িত করার মতো একটি ব্যাপার হিসাবে অনেকে দেখতে পারেন। কিন্তু বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন, তাদের এ রকম কোন উদ্দেশ্য নেই। আদালতের রায় তারা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যেই তারা জমি দেখেছেন। কিন্তু সেখানে স্থায়ীভাবে চলে যেতে তাদের সময় দরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান

তবে ভবন ভাঙ্গার খরচ দিতে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, সে বিষয়টি তারা কি করবেন? জানতে চাওয়া হলে মি. রহমান বলেন, ”এটা যেহেতু একটি সমিতি, আমাদের বসতে হবে, আলাপ করতে হবে। তারপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আদালতের সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”

বিজিএমইএ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন। কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়া একটি জলাশয়ের মধ্যে ভবন তৈরি করে এখন যে সরে যেতে হচ্ছে। এটা কি একটি ভুল ছিল বলে তারা মনে করেন?

বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন, ”না, আমি কোনভাবেই বলবো না যে আমরা ভুল করেছি। আমরা পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে আমরা জমি বরাদ্দ নিয়েছিলাম। তার উপরেই ভবন নির্মাণ করেছি। আমাদের সব কাগজপত্র আছে। তবে আদালতের বিষয় হওয়ায় এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।”

২০১১ সালের ৩রা এপ্রিল জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল খারিজ হয়ে যায়। রিভিউ আবেদনও ৫ই মার্চ খারিজ হয়ে যায়।

সূত্র, বিবিসি

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Thu, 21 Nov.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।