অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক:: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে তা বিবেচনা করা হবে।
খালেদা জিয়া দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তিনি যে নিরাপত্তা ডিজার্ভ করেন এর বাইরে তিনি থাকবেন না। বেগম জিয়া বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে সেটা সরকার বিবেচনা করবে।’
শনিবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘ দুই মাস পর শনিবার খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। তারা নেত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তার নিরাপত্তা জোরদার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় দলটি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘দেশে স্পর্শকারতর সময় চলছে। টেরোরিজম এখন কোনো রিজিওনাল ফেনোমেনা নয়। এটা এখন গ্লোবাল ফেনোমেনা। চোরাগোপ্তা হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এর আগে এক মতবিনিময় সভায় সেতু মন্ত্রী জানান, আগামী জানুয়ারী মাস থেকেই বাংলাদেশ, ভারত,নেপাল ও ভুটানের সাথে চার দেশীয় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।
সিলেট-তামাবিল-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে উন্নত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহী। এটা প্রক্রিয়াধীন।’
এছাড়াও সিলেট-হবিগঞ্জ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ন এলাকাগুলো মেরামতের জন্য আগামী ১০দিনের মধ্যে টেন্ডার করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই সড়ক সাড়ে চারশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে ওই উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবকে মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক সংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।