এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বর্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কর্তৃক প্রথম শ্রেনীর ১ ছাত্রকে নির্মম ও পাষবিক নির্যাতনের মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এলাকাবাসী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জ্বর দাবী জানিয়েছেন।
বীরগঞ্জ উপজেলার বর্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র চেঙ্গাইক্ষেত্র গ্রোমের আব্দুল মান্নানের পুত্র মানিক (৭) কে শিক্ষিকা মাস্তÍুরা বেগম নির্মম ও পাষবিক নির্যাতন করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ছাত্র মানিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসী গতকাল শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। এবং থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত ছাত্রের চাচা ইউপি মেম্বার আবদুল হান্নান।
প্রত্যক্ষদর্শী কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী এবং অসংখ্য অভিভাবকেরা জানায়, প্রথম শিফটের ক্লাশ চলাকালে শিক্ষিকা মাস্তুুরা বেগম ক্লাশে গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদানের সময় মানিক তার পড়া করতে পারছিল না। ফলে কর্মরত শিক্ষিকা তাকে চাপ সৃষ্টি করে এক পর্যায় তার গালে স্বজোরে চপেটাঘাত করলে মানিক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে জানালার গ্রিলে লেগে মাথা ফেটে গেলে রক্তপাত হতে থাকে এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। আহত মানিক চিৎকার করতে থাকলে অবস্থার বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা তার মাথায় বেন্ডেস করে পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ছুটে এসে মানিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্ত্তি করায়।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার ক.খ মোঃ আলাওল হাদি, সহকারী শিক্ষা অফিসার মমতাজ ফেরদৌস, মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষিকাই ঘটনার জন্য দায়ী এবং তিনি এতবড় একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দম্ভের সাথে অভিভাবকদের সাথে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
প্রধান শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের সংঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায় আমি ঘটনাটি শুনে ঐ রুমে গেলে জানতে পারি অভিযুক্ত শিক্ষিকা ছাত্রটিকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও এলাকাবাসী নিয়োগ সহ বিভিন্ন শুযোগ শুবিধা নিতে চাইলে আমি না দেওয়ায় তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মনজুর অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অফিসার ইনচার্জ জানান এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে এসআই জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে এটি মামলা হিসেবে গন্য করা হবে।
বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষিকাদ্বয়ের বিরুদ্ধে অসদাচারণ ও ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার, শিশু ছাত্রকে প্রহার এর প্রতিবাদে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।