বীরগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৮টি বাড়ী ভষ্মিভুত ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের তকশিয়ালখেদা গ্রামে জামিনি রায়ের বাড়ীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে মুহুর্তের মধ্যে গিরিস চন্দ্র বর্ম্মন, মহেশ বর্ম্মন, চন্দন বর্ম্মন, দীনেশ বর্ম্মন, কামীনি বর্ম্মন, জামিনী বর্ম্মন, পরেশ বর্ম্মন, বিল্লা বর্ম্মন, বিশ্বনাথ বর্ম্মন, ধলা বর্ম্মন, সুরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন কৈলাশ বর্ম্মন, ঠাকুর বর্ম্মন, ধীরেন্দ্র বর্ম্মন, যতিন বর্ম্মন সহ ২৮টি বাড়ী আগুন ছড়িয়ে পরে। এতে ঘর-দরজা, নগদ টাকা, ধান-চাউল, সরিষা-কালাই, আসবাবপত্র-স্বর্ণালংকার, কাপড়-চোপরসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ আগুন নেভাতে এসে ব্যার্থ হয়। সংবাদ পেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রন আনে। তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি নির্নয় করা সম্ভব হয়নি তবে প্রত্যক্ষদর্শিদের ধারনা ২৮টি বাড়ী ভষ্মিভুত হওয়ায় আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রত্যেক পরিবারে ক্ষতি পুরনের আশ্বাস দেন ও প্রতিটি পরিবারের মাঝে ঢেউটিন, চাউল, কম্বল, শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল হাই সরকার, সাতোর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ রেজাউল করিম, মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী। স্থানীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে রাজা ১৪বস্তা, রেন্টু ৩বস্তা চাউল সব্জি, সোয়াবিন তৈল এবং মানিক বর্মা ১১টি কম্বল বিতরন করেন।